মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারতীয় নাগরিক ও মাইক্রোসফটের সাবেক কর্মী মুকুন্দ মোহন। করোনাভাইরাসের সহায়তা তহবিল থেকে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার তাকে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মুকুন্দ মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষে মাইক্রোসফটের প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক হয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের পে-চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রামের (পিপিপি) আওতায় ছয়টি কোম্পানির নামে আটটি ঋণ আবেদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পিপিপি কর্মসূচির আওতায় করোনা মহামারির সময় কর্মী ধরে রেখে ব্যবসা চালু রাখতে ওই ঋণ দেয়া হয়। যদি ওই ঋণের অর্থ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তবে তা মঞ্জুরি সাহায্য হিসেবে পরিণত হয়। তবে মুকুন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, ভুয়া কোম্পানির নামে তিনি এ অর্থ নিয়েছেন। তার কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মী নেই, এমনকি কিছু কোম্পানির অস্তিত্বও নেই।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে মুকুন্দ বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেন এবং মাইক্রোসফট স্টার্টআপ এক্সিলারেটর কর্মসূচি চালু করেন। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটে যুক্ত হন তিনি। এক বছর পরেই আবার মাইক্রোসফট ছেড়ে দেন। তার লিংকডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমাজনের পণ্য ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। বেশ কিছু স্টার্টআপ কোম্পানির অংশ তিনি। এর বাইরে তিনি নিজেকে উত্তর আমেরিকার অনলাইন বাড়ি উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বিল্ডডিরেক্ট কোম্পানির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করতেন।
মার্কিন অ্যাটর্নির অভিযোগ হচ্ছে, মুকুন্দ একটি ঋণ আবেদনে ভুয়া নথি জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ভুয়া ফেডারেল ট্যাক্স ফাইল ও নকল ইনকরপোরেশন তথ্য রয়েছে। তিনি সরকারি ঋণের টাকা আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবিনহুডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন। এ ছাড়া মাহেনজো নামে একটি কোম্পানির জন্য ঋণ আবেদন করেন তিনি। এ সম্পর্কে নানা ভুয়া তথ্য দেন। এ কোম্পানির জন্য কোম্পানির কর্মীদের বেতনের ভুয়া কাগজপত্রও দেন তিনি। কিন্তু এ কোম্পানির কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম বা কর্মী নেই। অথচ তিনি মাহেনজো সম্পর্কে লিংকডইনে লিখেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ফ্লোরিং ক্যাটালগ ও পণ্য তথ্যের ডেটাবেইস আছে তাদের। অন্য যেসব কোম্পানির নামে তিনি ঋণ নিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে জুপুট, জাইগ্যান্টিক, গিটগ্রো, ভ্যাংগাল ও এক্সপেক্ট সাকসেস। সূত্র: ইকনোমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।