পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রয়োজন ছাড়া ঈদযাত্রা পরিহার করতে লঞ্চযাত্রীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জীবনে অনেক ঈদ পাওয়া যাবে। ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে চলাচল করবেন না। নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করতে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডিআরইউ’র মরহুম সদস্যদের স্মরণসভা ও পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে রিপোর্টার্স ইউনিটি পিছিয়ে থাকতে পারে না। গণমাধ্যম সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যেতে গণমাধ্যমে নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদ দেখতে চাই। কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রু টি থাকবে। ভুল-ত্রুটিগুলি ইতিবাচক সংবাদধারায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি নজরুল কবির, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, কল্যাণ সম্পাদক এম সাইফুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল খায়ের, সানরাইজ ইন্সুরেন্সের ডিএমডি সাহাবুদ্দিন সরকার, মরহুম হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা রেনু এবং খোন্দকার মহিতুল ইসলামের সহধর্মিনী খাদিজা ইসলাম। ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে মরহুম চারজনের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে গ্রুপ বীমার দু’লাখ এবং ডিআরইউ’র কল্যাণ তহবিলের এক লাখসহ মোট তিন লাখ টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। মরহুম সদস্য আজাদ হোসেন সুমন, হুমায়ুন কবির খোকন, খোন্দকার মহিতুল ইসলাম ও আসলাম রহমানের পরিবারের সদস্যরা চেক গ্রহণ করেন। মরহুম বাকি তিন সদস্যের পরিবারের মাঝে পরবর্তীতে অনুদানের চেক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে দু’জন সদস্যকে দেড় লাখ টাকা করে চিকিৎসা অনুদানের চেক দেয়া হয়। চিকিৎসা অনুদানের চেক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ অবজারভারের জীবন ইসলাম এবং আলোকিত বাংলাদেশের আফরোজা নাজনীন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি। ৫ লক্ষাধিক কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। গত অর্থবছরে ৯০ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে, সাংবাদিকদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হবে না। কারণ এদেশের দূরদর্শী নেতৃত্ব রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। ’৭৫ এর পরাজিত গোষ্ঠী বাংলাদেশকে বিকলাঙ্গ, ব্যর্থ করে দিতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে পরাজিত গোষ্ঠিকে মোকাবিলা করব।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। সে স্বপ্ন পূরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজ লুটেরা শ্রেণির মানুষ মাথার ওপর উঠে গিয়েছিল, আমাদের এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। করোনার কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অনেক প্রস্তুতি ছিল। করোনার মতো কঠোর পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।