মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মোদি সরকারের ব্যর্থ পররাষ্ট্র নীতির কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের। বিতর্কিত সীমানা নিয়ে চীনের সাথে ভারতের তিক্ততা ক্রমশই বাড়ছে। অপর প্রতিবেশী দেশ নেপালের সঙ্গেও সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্কে চিড় ধরেছে। উপায় না দেখে শেষমেশ আরেক প্রতিবেশী ভুটানকে তেল মারা শুরু করেছে ভারত।
ভুটানের উপর ভবিষ্যতে যাতে চীন কোনও প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। তালিকায় রয়েছে সীমান্তবর্তী ট্রেড পয়েন্ট বাড়ানোর কাজ এবং দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা। সম্প্রতি, ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকে পরোক্ষে নিজেদের বলে দাবি করেছিল চীন। জুনের শুরুতে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি (জিইএফ) কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে সাকতেং অভয়ারণ্যকে বিতর্কিত এলাকা বলে দাবি করে বেইজিং। এই সুযোগে নিজেদের পক্ষে ভূটানকে টানাই এখন লক্ষ্য ভারতের।
গত সপ্তাহে ভারত-ভূটানের মধ্যে নতুন বাণিজ্যিক রুট চালু হয়েছে। জানা গিয়েছে ভূটানের অনুরোধে আরও একটি স্থায়ী ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন খোলার কথা ভাবছে ভারত। এর ফলে ভূটান বেশি পরিমাণে দ্রব্য রপ্তানি করতে পারবে ভারত এবং বাংলাদেশে। একই সঙ্গে আরও একটি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট খোলার কথাও ভাবছে ভারত। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত ভারত এবং বাংলাদেশে বড় বোল্ডার এবং রিভার বেড মেটিরিয়াল রপ্তানির সুবিধের জন্যেই এই রুটের অনুরোধ করেছিল ভূটান। তার অন্যতম কারণ, বর্তমানে যে রুটে রপ্তানি হয়, সেই লোকসান-ভীমতার এলসিএস-এ পরিবহন খরচ মাত্রাতিরিক্ত এবং ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে ওজনের উপরেও থাকা কড়া নিয়ম।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুজনাই থেকে ভূটানের নোয়েনপালিং-এর মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করার আগে শুরু হয়েছে ফিজিবিলিটি স্টাডি, অর্থাৎ, সবদিক বিচার করে দেখা হচ্ছে এই রেললাইন তৈরি হলে কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দেবে কি না। অন্যদিকে, ভারতের ল্যান্ড পোর্টস অথরিটি পশ্চিমবঙ্গে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও-কে চিহ্নিত করেছে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট তৈরি করার জন্যে। অন্যদিকে জিত্তি-নাগরাকাটা এলসিএস-কে স্থায়ী ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন করার ভাবনাচিন্তা ভারতের। এতদিন পর্যন্ত এটিকে মরশুমি স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হত কমলালেবু, আদা এবং এলাচের রপ্তানির জন্যে।
গত সপ্তাহে যে নতুন রুটের উদ্বোধন হয়েছে, তার মাধ্যমে পাসাখা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল র মেটিরিয়াল এবং অন্যান্য দ্রব্য সহজেই পৌঁছে দেওয়া যাবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে জয়গাঁও-ফুয়েন্তশোলিং সীমান্ত দিয়ে ভারত-ভূটানের মধ্যে বার্ষিক ৬ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।