মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাদাখে ভারতের সাথে বিতর্কিত এলাকার বেশিরভাগই দখল করে রেখেছে চীন। মুখে বড় বড় কথা বললেও চীনকে মোকাবেলায় মোদি সরকারের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েও চীনকে সেনা সরাতে রাজি করাতে পারেননি তিনি। এর মধ্যেই জানা গেছে, এখনও পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বরাবর ৪০ হাজার সৈন্য মোতয়েন করে রেখেছে চীন। একটি গোপন রিপোর্টে ফাঁস হয়েছে সেই তথ্য। এতে নতুন করে উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে ভারত।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার লাদাখের ওই অঞ্চল থেকে চীনকে সেনা সরানোর অনুরোধ করেছে ভারত। বাস্তবে ভারতের অনুরোধে কর্ণপাতই করছে না চীন। সূত্রের খবর, গোগরা ও হটস্প্রিং এলাকায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে চীনা সৈন্যরা। এমনকী যে প্যাংগং লেক নিয়ে এত বিতর্ক, সেই লেকের ফিঙ্গার ৫ এলাকা থেকেও সরছে না লালফৌজ। ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এখনও যেতে পারছেন না ভারতীয় সৈনিকরা।
চীনের এই পদক্ষেপ খুব আশ্চর্যের নয় বলেই মনে করছেন ভারতের সেনা কর্তারা। তাই চীনকে পালটা দিতে রণনীতি সাজাচ্ছে ভারতও। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর হাতে থাকা যুদ্ধবিমান ইতোমধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেশের উত্তর ভাগের বিমান বাহীনির একাধিক ঘাঁটিতে। চীনকে বার্তা দেয়ার জন্যই ভারতীয় নৌ-বাহিনীর এই তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত সেনাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এরই মধ্যে ভারত সেখানে মোতায়েন করেছে ‘ভারত’ নামের একটি বিশেষ ড্রোন। সেনা সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ ভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিশেষ ড্রোন উঁচু পাহাড়ে ঘেরা এলাকায় নজরদারি চালাতে বিশেষ ভাবে সক্ষম। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি চালানোর জন্যেই আপাতত ব্যবহার করা হবে এটি। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো সবই লোকদেখানো তৎপরতা। সামরিক শক্তিতে চীনের থেকে অনেক পিছিয়ে ভারত। অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল। পাশাপাশি, চীনের সাথে ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের সখ্যতা খুব বেশি। সেদিক থেকেও চাপে রয়েছে তারা। আরেক প্রতিবেশী নেপালেও এখন ভারত বিরোধী হাওয়া। এদিকে, অন্য কোন দেশই এ বিষয়ে নাক গলানোর আগ্রহ দেখায়নি। ফলে, একা ভারতের পক্ষে চীনের বিরুদ্ধে খুব বেশি কিছু করার নেই। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।