নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘এবছর হচ্ছে না টি-২০ বিশ^কাপ’- এতদিন যেন এই ঘোষণাটির অপেক্ষাতেই ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাইতো আইসিসির এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরদিনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ভাগ্য। অনেকটা যেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত করেই আসছে আইপিএল!
বিশ্বকাপ বাতিলের ঘোষণা এলেই আইপিএল আয়োজনের জানালা খুলে যাবে ভারতের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা এমনটিই বলছিলেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে, ‘এশিয়া কাপ পিছিয়ে যাওয়া প্রথম ধাপ ছিল। এখন আমরা এগোতে পারি যদি আইসিসি বিশ্বকাপ বাতিলের ঘোষণা দেয়। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ আয়োজনে অপারগতা জানানোর পরও আইসিসি সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না।’
অবস্থাদৃষ্টে এমনটা মনে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। বাকিরা কিছু না বললেও ভারত থেকেই এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ‘হবে না, হবে না’ রব ওঠার পর শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত করেছে আইসিসি। ওদিকে ভারত থেকে আইপিএল মাঠে গড়ানো নিয়েই বেশি কথা উঠেছে। শেষ পর্যন্ত এ কথাই বোধ হয় টিকে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে আইপিএল গড়াতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দরকার শুধু দেশের সরকারের ছাড়পত্র।
আগে থেকে ঠিক করে রাখা এ দুটি টুর্নামেন্টের সূচি ওলট-পালট হয়েছে করোনা ভাইরাস মহামারিতে। সংবাদসংস্থা এএফপিকে আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে আইপিএল আয়োজনের জন্য ভারত সরকারের অনুমতি লাগবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ সালে নিয়ে যাওয়ায় এ বছর দেরিতে হলেও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট লিগ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে বিসিসিআই। আইপিএলের এই চেয়ারম্যান বললেন, ‘এটা দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে, তবে সবার আগে আমরা সেখানে আয়োজনের জন্য ভারত সরকারের অনুমতি নেব।’ টুর্নামেন্টটি ঠিক কবে শুরু হবে তা আইপিএলের পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করবেন আগামী সপ্তাহের বৈঠকে। তবে ব্রিজেশ প্যাটেল একটু ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের কথা ভাবছি। নভেম্বর পর্যন্ত গড়াতে পারে।’ ১৮ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সংবাদমাধ্যমে আগেভাগেই গুঞ্জন উঠেছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে আইপিএল। চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে দর্শকহীন মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে ব্যাপারে কোনোকিছু নিশ্চিত করেননি আইপিএল চেয়ারম্যান। ভারত ও দুবাই কর্তৃপক্ষ মিলে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে সেখানেই প্রায় মাসখানেক ক্যাম্প করবে বিরাট কোহলির দল। কারণ নভেম্বরেই আবার অস্ট্রেলিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে ভারত।
বিসিসিআইয়ের আয়ের প্রধান উৎস আইপিএল। করোনা মহামারিতে আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর জানা গিয়েছিল, এ বছরের সংস্করণ মাঠে না গড়ালে হারাতে হতো ৫০০ মিলিয়ন ডলার। ক্রিকেট পাগল ভারতের অর্থনীতিতে ৭ সপ্তাহের এ টুর্নামেন্ট আনুমানিক ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবদান রেখে থাকে। এর আগে আইপিএল শুরুর নির্ধারিত তারিখ ছিল ২৯ মার্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।