বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন-বাংলাদেশ (জেএমবি)’র সক্রিয় ৬সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। উদ্ধার করেছে উগ্রবাদী বই, লিফলেটসহ বিভিন্ন সরংজামাদি।
শনিবার রাতে সাভার পৌর এলাকার ভাটপাড়া মহল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। রবিবার তাদের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেন র্যাব।
তাদের হেফাজত থেকে উগ্রবাদী সম্পর্কিত বই, লিফলেট, সাময়িকী, ডিজিটাল কনটেন্টসহ মোবাইল, টর্চ লাইট, ট্রাভেলস ব্যাগ, নিত্য ব্যবহার্য জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- রাজশাহী জেলার মোঃ ওমর ফারুক ওরফে রুবেল ওরফে সানী (২৮), জামালপুর জেলার মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে বাদশা (৪৮), মোঃ সাইদুর রহমান ওরফে সাইদুর (৫৫), মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে দুদু (৫৫), মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (৩৭) ও মোঃ গোলাম মোস্তফা (৫১)।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন- বাংলাদেশ (জেএমবি)’র সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে।
এদের মধ্যে ওমর ফারুক ওরফে রুবেল ওরফে সানী পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছে। জামালপুর জেলার ঘোড়াধাপ এলাকার জামাত-উল-মুজাহিদীন- বাংলাদেশ (জেএমবি) শীর্ষ স্থানীয় নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে বাদশার সাথে পরিচয় হয় এবং সে তাকে জেএমবি’র দাওয়াত দেয়। সে সংগঠনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করার একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার কাছ থেকে বিভিন্ন এনক্রিপটেড সফটওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপস সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহন করে। এক পর্যায়ে সে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবি সাথে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানের সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সে। সে গত ৫ বছর যাবৎ জেএমবির সাথে জড়িত। তার মোবাইল হতে জেএমবির বর্তমান কার্যক্রম সম্বন্ধে গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। জেএমবি’র অনলাইন গোপনীয় গ্রুপের মাধ্যমে পরিচিত হয় এবং নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। তার ব্যবহ্নত মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদি ডিজিটাল কন্টেন্ট পাওয়া গিয়েছে।
মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে বাদশা জামালপুর সদর থানার ঘোড়াধাপ এলাকার জিএমবিকে নের্তৃত্ব দিতেন। সে গত ১০ বৎসর যাবৎ জেএমবির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। সে ও তার সহযোগীরা গোপনে মোটিভেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
মোঃ সাইদুর রহমান জেএমবির একজন সক্রিয় সদস্য। প্রায় ১৯ বছর যাবৎ সে জেএমবি এর সাথে সংযুক্ত। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির কারণে গোপনে জেএমবিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহ ও অসচ্ছল সদস্যদের মনোবল ধরে রাখতে সে বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা করে থাকে। সে জেএমবি সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত গোপন মিটিং করতো।
মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে দুদু মিয়া ঘোড়াধাপ এলাকার জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদানকারী একজন সক্রিয় সদস্য। সে জেএমবি সদস্যদের মাঝে জঙ্গি সংক্রান্ত বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন নিয়মিত গোপনে বিতরন করতো।
মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক জেএমবির সদস্য। সে সাইদুর রহমান ও দুদু মিয়ার প্ররোচনায় জেএমবির কার্যক্রমে সংযুক্ত হয় এবং সংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। বর্তমানে সে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ জেএমবির সাথে সংযুক্ত রয়েছে।
মোঃ মোস্তফা জেএমবির একজন প্রশিক্ষিত ও সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ সে এ ধরনের অপতৎপরতার সাথে প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত। ২০০৪ সালে জেএমবি কর্তৃক জামালপুরে মুসলিম হতে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত আলোচিত গনি গোমেজ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সে সরবরাহ করে বলেও র্যাব জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও র্যাবের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।