Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন করে দরজায় তালা

ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলের মধুপুর

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ রোডের পশ্চিম মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- গণি মিয়া ও তার স্ত্রী কাজিরন ওরফে বুচি, ছেলে তাজেল ও মেয়ে সাদিয়া।

জানা যায়, গণি মিয়া বছরখানেক আগে থেকে মাস্টারপাড়ায় নতুন বাড়ি করে বসবাস করতেন। তিন-চার দিন ধরে কোনও সাড়াশব্দ ছিল না বাড়িটিতে। কারও আসা-যাওয়াও চোখে পড়েনি। বাড়ির গেটে তালা ঝুলছিল। পচা গন্ধ বের হওয়ায় এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে বাবা-মা, ছেলে-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। গলা কেটে ও ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয় তাদের। বাড়ির কর্তা আব্দুল গনি মিয়া ছিলেন রিকশাভ্যান চালক। কেন এরকম সাধারণ একটি পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হলো বলতে পারছেন না এলাকাবাসী। প্রাথমিক তদন্তে বিশেষ কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা আবাসিক এলাকার একতলা একটি বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে তার বাড়ির গেট তালাবদ্ধ ছিল। সকালে গণির শাশুড়ি বাসার গেটে এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেলে সন্দেহ হয়। দরজার কাছে গিয়ে দুর্গন্ধ পান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামাল বলেন, কিছু দিন আগে আব্দুল গণি মিয়া এখানে একতলা একটি বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত তিন-চারদিন ধরে তাদের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো না। বাইরে থেকে তাদের বাসার গেট তালাবদ্ধ ছিল। গতকাল সকালে বাসার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসা শুরু হলে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দুই-তিন দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাদের গলা কেটে হত্যার পর লাশ রেখে গেছে। নিহত চার জনের মধ্যে তিন জনের লাশ খাটের ওপর ও একজনের লাশ মেঝেতে পড়ে ছিল। তবে কি কারণে কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ। সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন। আরও তদন্তের পর হত্যার কারণ জানা যাবে। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, জেলা থেকে পিবিআই ও সিআইডি বিশেষেজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রেখেছে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিকুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দু-এক দিন আগে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বলেন, একটি কুড়াল পাওয়া গেছে। নিহতদের শরীরে কুড়ালের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্য, ডিবি, র‌্যাবসহ গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুতই খুনের কারণ জানা যাবে। এছাড়াও দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।



 

Show all comments
  • Moyen Uddin ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    All the KULANGAR culprit should get caught and held to Justices as soon as possible
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmudul Rifath ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    জানোয়ারে ভরে গেছে দেশটা!
    Total Reply(0) Reply
  • মেঘলা মন ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    যতই দিন যাচ্ছে,মানুষগুলো হিংস্র হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shipon Alam ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    দেশে আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছু আছে বলে হয় না.. যে দেশে কোনো কিছুরই বিচার হয় না, এমন তো ঘটবেই...।
    Total Reply(0) Reply
  • Apel Mahmud Imran ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    নিজের দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Sopno Moy ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
    হায়রে আল্লাহ মানুষ কত বড় জানোয়ার অমানুষ হতে পারে
    Total Reply(0) Reply
  • MD Sobuj Biswas ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
    এই সব কিছুর পিছে দায়ি দেশের আইন ব্যবস্থা দুর্বল,,, সবাই যেনে গিয়েছে অপরাধ এর বিচার হয় না,,,
    Total Reply(0) Reply
  • MD Sobuj Biswas ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
    কিছুদিন আগেই,, একই পরিবারের 4জন খুন হয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানদের খুন করা হয়েছে,,এছারা পাবনায় একি পরিবারের 3জন কে খুন করা হয়েছিল,,,কিন্তু এর কি সাজা হল তা জানা জায়নি,,,এই সকল বিষয় দ্রুত বিচার কাজ শেষ করা হয় না কেন দ্রুত এদের ফাঁসির ব্যবস্থা কেন করা হয় না,,এজন্যই মানুষ ভয় পায় না দেশের আইন কে
    Total Reply(0) Reply
  • ইলিয়াস ১৮ জুলাই, ২০২০, ১১:০৪ এএম says : 0
    যতদিন ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে না;অপরাধীদের প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না,ততদিন এসব নৃশংসতা বন্ধ হবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ