Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ‘বয়কট’ জায়েদ খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ৬:২০ পিএম | আপডেট : ৬:৫৫ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২০

চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির নেতা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ‘বয়কট’ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠন।

আজ বুধবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হায় কালার ল্যাব হলরুমে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।

এ প্রসঙ্গে খোরশেদ আলম খসরু বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই তার (জায়েদ খান) বিরুদ্ধে সংগঠনের পরিপন্থী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। তাকে একাধিকবার বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক করা হলেও নিজেকে শুধরে নেননি। এমনকি, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু সে আমাদের একটা মিটিংয়েও আসেননি। তাই আজ চলচ্চিত্রের সকল সংগঠনের সম্মতি অনুযায়ী আমরা তার প্রযোজক সমিতির সদস্য পদটি বাতিল করে দিয়েছি।

বিষয়টি সম্পর্কে ইনকিলাবকে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার জানিয়েছেন, বুধবার (১৫ জুলাই) জায়েদ খানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্রের সব সংগঠন। সে নানা সময়ে অসংখ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা সবাই নিয়েছি। শুধু তিনিই নন, সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে যে জড়িত থাকবে তাকেই উপযুক্ত ফল ভোগ করতে হবে।

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'শিল্পী সমিতির নেতা জায়েদকে নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। পরিচালক থেকে প্রযোজক কাউকেই প্রাপ্য সম্মানটুকু দেন না, বরং আরও হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেন তিনি। শুধু তাদেরই নয়, সিনিয়র শিল্পীদের নানাভাবে অপমান করেছেন তিনি। সবশেষ চলচ্চিত্র সংগঠনের যৌথ নীতিমালা অমান্য করতে সকল শিল্পীদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। যা পুরোপুরি 'সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড'। তাই সবকিছু মিলিয়ে সকল সংগঠনের সম্মতিতে তাকে আমরা বয়কট করেছি।

গেল কয়েকমাস ধরেই জায়েদের বিরুদ্ধে প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি অভিযোগ করে আসছিলো। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গেল সোমবার (১৩ জুলাই) সমিতির পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। যার জেরে আজ (১৫ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বয়কট ঘোষণা করা হল। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন সংগঠনের চিঠি প্রত্যাখান করেছেন এই শিল্পী।

শিল্পী সমিতির সর্ব্বোচ্চ নেতা হওয়াতে নানা সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সদস্যদের থেকে জোরপূর্বক টাকা ও বিভিন্ন জিনিস দাবি করতেন জায়েদ খান। সংশ্লিষ্ট সদস্য তা দিতে ব্যর্থ হলে কিংবা দিতে না চাইলে বিনা কারণেই তাদের সদস্যপদ বাতিল করতেন এই চিত্রনায়ক।

এদিকে যেসব গুণীজনদের ছত্রছায়ায় এফডিসিতে জায়েদ খান নিজের অবস্থান ধরে রেখেছিলেন, একের পর এক নিন্দনীয় ঘটনার জেরে তারাও আজ নায়কের পেছন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কেননা তারা নিজেরাও কিছুতেই চাইছেন না এসবের পরেও জায়েদকে সমর্থন করা ঠিক হবে।

প্রযোজক সমিতির সদস্যপদ বাতিল ও এফডিসিতে বয়কটের বিষয়ে জায়েদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ