মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সঙ্গে নেপালের এখন সম্পর্ক তলানিতে৷ সম্প্রতি ভারতের একাধিক এলাকাকে অন্তর্ভূক্ত করে নতুন মানচিত্র তৈরির সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে নেপালের পার্লামেন্টে৷ এবার নতুন করে আবারও ভারতের রাম ও অযোধ্যা নিজেদের দাবি করেছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি গতকাল সংবাদ সংস্থা ANI-কে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, 'আসল অযোধ্যা তো নেপালে অবস্থিত ছিল৷ ভারতে নয়৷ ভগবান রামও নেপালি, ভারতীয় নন৷'
রাম ভারতীয় নন, নেপালী ছিলেন উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি দাবি করেছেন, সত্যিকারের অযোধ্যা নেপালে। ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ লিপুলেখ-কালাপানি এলাকাকে নিজেদের বলে ঘোষণা দেয়ার পর এবার এই চমকপ্রদ দাবি তুললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম দেবতা রাম ভারতীয় ছিলেন না বরং নেপালী ছিলেন। আর সত্যিকারের অযোধ্যাও ভারতে নয়, নেপালে অবস্থিত।
সোমবার নেপালের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বালুবাতারে নিজ বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে কে পি শর্মা বলেন, সংস্কৃতিগতভাবেও আমরা শোষিত হয়েছি, তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, ভারতীয় রাজপুত্র রামের হাতে আমরা সীতাকে তুলে দিয়েছি। কিন্তু আমরা অযোধ্যার রাজপুত্রের হাতে তাকে তুলে দিয়েছি, কোন ভারতীয় রাজপুত্রের হাতে নয়। আর এই অযোধ্যা হলো বীরগঞ্জের কিছুটা পশ্চিমের একটা গ্রাম। এখন যেটাকে অযোধ্যা বানানো হয়েছে সেটা নয়।
এমন এক সময়ে অলি এই অভিনব দাবি জানালেন, যখন কাঠমান্ডু আর নয়াদিল্লীর মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ বেশ কিছু এলাকাকে নিজেদের দাবি করে সম্প্রতি নেপাল যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, সেটিকে কেন্দ্র করেই এই দ্বন্দ্ব।
গত ৮ই মে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিপুলেখ থেকে উত্তরখান্ডের ধারচুলাকে সংযুক্ত করে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা উদ্বোধন করেন। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় নেপাল। দেশটির দাবি, ওই সড়ক তাদের ভূখন্ডে অবৈধভাবে নির্মাণ করছে ভারত। এরপরই ওই এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে কাঠমান্ডু। এতে দুই প্রতিবেশীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এই ম্যাপের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে কূটনৈতিক প্রতিবাদও জানায় ভারত।
পরিস্থিতি আরো নাজুক হয় যখন ভারতের বিরুদ্ধে তার দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) সদস্যদের ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী অলি। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে অলির পদত্যাগের দাবি তুলেছে তার দলেরই সদস্যরা। তবে অলির দাবি, ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করতেই তার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছেন তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ডসহ নেপালের বহু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদই অবশ্য অলির এই ভারত-বিরোধী মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।