Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরুর গোশতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসতে শুরু করেছে। আমাদের দেশে গরু দিয়ে বেশি কোরবানি হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গো খাদ্যের সঙ্গে মোটাতাজাকরণ সামগ্রী মিশিয়ে গরু মোটাতাজা করে তোলো। বাড়তি মুনাফার আশায় অল্পদিনের মধ্যে গরু মোটাতাজা করার জন্য গো-খাদ্যের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট, নিষিদ্ধ ইনজেকশন ব্যবহার করে, যা গরু ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। স্টেরয়েড গ্রæপের ট্যাবলেট খাওয়ালে গরুর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে শরীরে পানি জমতে শুরু করে। ফলে গরু মোটাতাজা দেখায়। এমন গরুর গোশত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ ধরনের গরুর গোশত রান্নার পরও তার অবশেষ রয়ে যায়। ফলে ওষুধের অবশেষ অংশ মানবদেহে জমা হওয়ায় মানুষের বিপাক ক্রিয়া কমে যায়, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ও রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এসব ওষুধ তীব্র তাপেও নষ্ট হয় না। কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরু প্রতিরোধে যদি সব পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মনিটর করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয, তবে ভবিষ্যতে ঈদকে সামনে রেখে অসাধু উপায়ে কেউ গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েড মেশাতে সাহস পাবে না। সেজন্য মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আইন ও বিধি অনুযায়ী জেল জরিমানা করাও জরুরী।
মো. জিল্লুর রহমান
গেন্ডারিয়া, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চি ঠি প ত্র

২ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন