মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের হায়দরাবাদের পুরাতন সচিবালয়ের প্রাঙ্গণে দু'টি মসজিদ ভাঙার নিন্দা জানিয়ে এআইএমআইএম সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, আলেম-উলেমা এবং বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতারা অবিলম্বে মসজিদ পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
হায়দরাবাদের এমপি এবং বিভিন্ন মুসলিম দলের সংগঠন ইউনাইটেড মুসলিম ফোরামের (ইউএমএফ) অন্যান্য নেতারা বলেছেন যে, দুটি মসজিদকে “করুণ” এবং “অসাংবিধানিক” ভেঙে ফেলার ফলে মুসলমানদের মনে ব্যথা ও যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসালিমিন (এআইএমআইএম)যারা ক্ষমতাসীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) এর একটি বন্ধু দল, এবং অন্যান্য নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি সরকার একই জায়গায় ভেঙে দেওয়া মসজিদগুলির পুনর্গঠনের পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে মুসলমানরা কঠোর প্রতিবাদ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
তারা বলেছে যে, মুসলমানরা এই পদক্ষেপ নিয়ে সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ । কারণ ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে একটি মসজিদ সর্বশক্তিমান আল্লাহর সম্পত্তি হিসাবে রয়েছে এবং এর মর্যাদা কখনই পরিবর্তন করা যায় না।
তারা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে যে, দুটি মসজিদ ভাঙ্গার ফলে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে পরিচয় দেওয়া আর সাজেনা।তার প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়ের আস্থা ধাক্কা খেয়েছে।
একই জায়গায় ভেঙে ফেলা মসজিদগুলি পুনর্নির্মাণের দাবি করে তারা বলেছে যে, মুসলমানরা অন্য জায়গায় মসজিদ পুনর্গঠনকে কখনই মেনে নিতে পারে না।
যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, তার ভাই এবং তেলঙ্গানার বিধানসভার এআইআইএমআই ফ্লোর নেতা আকবরউদ্দীন ওয়াসি, মাওলানা আকবর নিজামউদ্দিন এবং জামিয়া নিজামিয়ার মাওলানা মুফতি খলিল আহমেদ, জামায়াতে ইসলামির তেলেঙ্গানা ইউনিটের সভাপতি মাওলানা হামিদ মোহাম্মদ খান, জমিয়াতুল ওলামা তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশ শাখার সভাপতি মাওলানা হাফিজ পীর শব্বির আহমেদ, বিশিষ্ট ধর্মীয় পন্ডিত মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী, মাওলানা জাফর পাশা প্রমুখ।
নেতারা উল্লেখ করেছেন যে, দুটি মসজিদই (মসজিদ-ই-হাশমি ও সচিবালয়ের মসজিদ) এর রেকর্ড ওয়াক্ফ বোর্ডে এবং সরকারি গেজেটের প্রজ্ঞাপনে রয়েছে।
এদিকে, বিলম্বিত পদক্ষেপে ওয়াক্ফ বোর্ড সেক্রেটারি একটি চিঠি পাঠিয়ে উভয় মসজিদ বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছিল। ওয়াকফ বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুল হামেদ চিঠির সাথে সাথে মসজিদের গেজেট নোটিফিকেশনও পাঠিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে এই ধ্বংসযজ্ঞ মুসলিমদের ক্রোধ ও আইন শৃঙ্খলা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। পুবের কলম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।