পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
নতুন পৃথিবী হবে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি আত্মনির্ভর কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যমুক্ত ও পরিবার কেন্দ্রিক। আর এসব ক্ষেত্রে যে দেশ যত অগ্রগামী হবে, সে দেশ তত উন্নতি করবে নতুন পৃথিবীতে। তাই এসবকে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও জ্বালানির বিষয়টি শিক্ষার সর্বস্তরের পাঠ্যসূচিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সাথে বিজ্ঞান ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসবকে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া, নতুন পৃথিবী হবে সাম্য ও শান্তির পৃথিবী। কারণ, বিভিন্ন বৈষম্যে-বিদ্বেষে সভ্যতা কলঙ্কিত হয়েছে। তাই নতুন পৃথিবীর মানুষ সব বৈষম্য-বিদ্বেষ নির্মূল করে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে, যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে। সাম্যবাদীরা বর্ণবাদের মাতৃভূমি পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রচন্ড আন্দোলন সৃষ্টি করে বর্ণবাদের জনকদের শেকড় উপড়ে ফেলছে। এমনকি, বর্ণবৈষম্যমূলক পণ্যও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর পর শুরু হবে জাতিগত, ধর্মগত, ভাষাগত, লিঙ্গগত বিদ্বেষ এবং যুদ্ধ, কুসংস্কার ও গোড়ামি বিরোধী তীব্র আন্দোলন। তাতে আন্দোলনকারীরা জয়ী হয়ে এসব নির্মূল করবে। সেই সাথে শুরু হবে অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন। পুঁজিবাদের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের মরণদশা সৃষ্টি হয়েছে। আর পুঁজিপতিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে রাতারাতি। তারা সংখ্যায় নগণ্য হয়েও বিশ্বের অধিকাংশ অর্থ ও সম্পদের মালিক। তাই নতুন পৃথিবীতে সমাজতন্ত্রের ন্যায় পুঁজিবাদের পতন হবে। উদ্ভব হবে সব মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির নতুন অধ্যায়। নতুন পৃথিবীতে আমেরিকার একক পরাশক্তিত্বের অবসান ঘটবে। কারণ, চীন ও রাশিয়ার উদ্ভব ঘটবে পরাশক্তি হিসাবে। ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। ফলে সহজে কেউ আগ্রাসী ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি গত ২৮ জুন রুশ টেলিভিশনে বলেন, ‘গোটা বিশ্বকে এখন এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে যে, যৌথ সংকটগুলো মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একক আধিপত্য বিস্তার করার প্রচেষ্টায় কোনো দেশ আর সফল হতে পারবে না।’ ফলে নতুন পৃথিবীর কাক্সিক্ষত সাম্য, ঐক্য, স্থিতিশীলতা ও সার্বিক উন্নতি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ কর্তৃত্ব কায়েম হবে। তবে, জাতিসংঘেরও সংস্কার করতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পদ দিতে হবে অঞ্চল ও জাতিগত ভিত্তিতে এবং ভেটো পাওয়ার বাতিল করতে হবে।
গত শতকে বৈশ্বিক পরিবর্তন হয়েছে ব্যাপক। যেমন: গত শতকের প্রথম দিকে রুশ কমিউনিস্ট বিপ্লব সংঘটিত হয়। অতঃপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। যার প্রভাবে বহু দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন তীব্রতর হয়। অনেক দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাজতন্ত্র কায়েম হয়। এছাড়া, পরপর দু’টি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধ হয়। তাতে বিশ্বের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশের ঔপনিবেশিক শাসন বিদায় নিয়ে বহু দেশ স্বাধীন হয়। জাতিসংঘ ও তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর ক্রমান্বয়ে আরব লীগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন, এশিয়ান ইউনিয়ন, ওআইসিসহ বহু আঞ্চলিক জোট গঠিত হয়। এছাড়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সর্ববৃহৎ সামরিক জোট গঠিত হয়ে শুরু হয় বৈশ্বিক স্নায়ু যুদ্ধ। বেশিরভাগ দেশ সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। তাতে সার্বিক উন্নতির চরম ক্ষতি হয়। এই দুই জোটের বিপরীতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন সৃষ্টি হয়। এছাড়া, কয়েকবার ভয়াবহ বৈশ্বিক মন্দাও সৃষ্টি হয়। তাতেও বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া, স্প্যানিশ ফ্লুতে প্রায় ৫ কোটি লোক প্রাণ হারায়। অপরদিকে, গত শতকের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায় এবং সমাজতন্ত্র বিদায় নেয়। ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো স্বাধীন হয়। সোভিয়েতের পতনে আমেরিকা একক পরাশক্তিতে পরিণত হয়। দেশটির ইন্ধনে শুরু হয় বিশ্বায়ন। এতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাণিজ্যে। ফলে বহু দেশের শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অসংখ্য শ্রমিক বেকার হয়েছে। অবশ্য এর আগেই শ্রমিকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎকর্ষতায়। ইত্যবসরে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। অন্যদিকে, চীনের ব্যাপক উত্থান ঘটেছে। ফলে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক দেশের সাথে দেশটির সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপরন্তু চীনের এক পথ এক অঞ্চল নীতি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিশ্বে। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বের ১৩৭টি দেশ ও ৩০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন। উপরন্তু চীনের এশিয়ান অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংকও সাড়া ফেলেছে ব্যাপক। অপরদিকে পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আফ্রিকারও কয়েকটি দেশ ভালো উন্নতি করেছে। অন্যদিকে, এইডস, সার্স, মার্স, ইবোলা ইত্যাদি জটিল রোগ সৃষ্টি হয়ে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
চলতি শতকের প্রারম্ভে আরব বসন্ত শুরু হয়। তাতে অনেক মুসলিম দেশের দীর্ঘকালীন একনায়কের পতন ঘটে গণতন্ত্র চালু হয়েছে। অপরদিকে, ৯/১১ এর মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও তার মিত্ররা মুসলমানদের উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়। যার শিকার হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। এছাড়া, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে বিশ্ববাসী ব্যাপক সোচ্চার হয়েছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন প্রবলতর হয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হয়ে ‘আমেরিকা ফাস্ট’ নীতি প্রবর্তন করে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ, বিভিন্ন দেশের উপর অবরোধ আরোপ ও নগ্ন হস্তক্ষেপ, ইরানের সাথে ৬ জাতির পরমাণু চুক্তি ও রাশিয়ার সাথে উন্মুক্ত আকাশ চুক্তি বাতিল, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ত্যাগ, ন্যাটোকে দুর্বল করেছেন। তার এই উদ্ভট কর্মকান্ডে বহু দেশের চরম ক্ষতি হয়েছে। আমেরিকারও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই মানুষ তাকে ‘ডেঞ্জার ট্রাম্প’ বলে সম্বোধন করেন। তবুও তিনি হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে নাক গলাচ্ছেন। সর্বোপির চীনের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার হুমকি দিয়েছেন। ফলে চীন-মার্কিন বিরোধ স্নায়ুযুদ্ধের পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পরাশক্তিত্বও পতনের মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক জেফ্রি স্যাকস এর মন্তব্য স্মরণযোগ্য। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমেরিকা বিভাজন সৃষ্টিকারী একটা শক্তি, সহযোগিতার নয়। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে একটা শীতল যুদ্ধ যেভাবে ঘনিয়ে উঠছে, তা করোনাভাইরাসের চেয়ে বিশ্বের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। দুই পরাশক্তির মধ্যে মতভেদ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। মহামারির পর নেতৃত্ববিহীন এক বিশ্বে বিশাল একটা টালমাটাল পরিস্থিতির দিকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে।’ সিএনএন বলেছে, মূলত ট্রাম্পের সাড়ে তিন বছরের শাসনই আমেরিকার আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও মর্যাদা ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে এর ভবিষ্যৎ ভূমিকাও বড় এক অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ঢোকার পর একের পর এক যেসব পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন, তাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে মার্কিন নেতৃত্ব। আর এসব কিছু তিনি করেছেন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির নামে। যা’হোক, চীন-মার্কিন যুদ্ধ বাঁধলে এশিয়া হতে পারে প্রধান রণক্ষেত্র এবং তাতে বিজয়ের পাল্লাই চীনের দিকে ভারি। এফবিআইও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চীন। সর্বোপরি জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পর বর্ণ বৈষম্যের প্রতিবাদে সমগ্র আমেরিকা চরম উত্তাল হয়ে উঠে। এর পরিণতি কী তাও ভাববার বিষয়। উপরন্তু ট্রাম্পের কৃতকর্মের জন্য আমেরিকার যেমন চরম ক্ষতি হয়েছে, সেই সাথে তার রাজনৈতিক জীবনেরও সমাপ্তি ঘনিয়ে এসেছে। কারণ, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার ভরাডুবি প্রায় নিশ্চিত হয়ে উঠছে ক্রমশ, যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন গত ২৫ জুন ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। তাতে তিনি বলেন, ‘সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আপনাদের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। কারণ কিছু মানুষ আমাকে ভালোবাসে না।’ বিভিন্ন জরিপেও ট্রাম্পের চেয়ে জো বাইডেন অনেক এগিয়ে। এই অবস্থায় ট্রাম্পের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়। এই হচ্ছে উগ্রবাদিতার পরিণতি! যা’হোক, বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমগ্র ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও। অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্বে বর্ণবাদ বিরোধী জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে, কয়েকটি দেশে অভ্যন্তরীণ ব্যাপক সংঘাতে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানি ও কয়েক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুৎ হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৭.৫ কোটি আর শরণার্থীর সংখ্যা ৫.২ কোটি।’ এসবের বেশিরভাগই মুসলমান। অন্যদিকে, আমেরিকা-ইসরাইলের প্ররোচণায় মুসলিম নামধারী কিছু মুসলমান সন্ত্রাসী কর্মে লিপ্ত হয়েছে। তাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। বেশিরভাগ মুসলমান এর চরম বিরোধী হলেও তাদের কারণে মুসলমানদের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষমতায় এসে দেশটিকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে দেশটিতে মুসলমান হত্যা, নির্যাতন ও জোর করে ধর্মান্তরকরণ এবং ইসলামী ঐতিহ্যের ধ্বংস বেড়েছে। মিয়ানমারেও ব্যাপক মুসলিম নিধন হয়েছে। যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগ করেছে। ইসরাইলের আগ্রাসন বেড়েছে। দেশটি এখন পশ্চিম তীর ও গোলানে বসতি নির্মাণ করছে বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে। এই অবস্থায় শুরু হয়েছে বৈশ্বিক করোনা মহামারি। তাতে এ পর্যন্ত অগণিত মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া বৈশ্বিক মহামন্দা সৃষ্টি হয়েছে, যার ক্ষতি বহুমুখী ও ব্যাপক। ফলে বেশিরভাগ দেশ এসডিজি অর্জন করতে পারবে কি-না সন্দেহ দেখা দিয়েছে। উপরন্তু লকডাউনে পুরুষরা ঘরবন্দি থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন, জন্মহার ও বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েছে ব্যাপক। বাল্য বিবাহও বেড়েছে অনেক। সর্বোপরি করোনা এখনও শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে তা অনিশ্চিত। হু প্রধান গত ২৯ জুন বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা এখনো বাকি।’ এমনকি আজীবনও থেকে যেতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞের অভিমত। উপরন্তু করোনার প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। আবিষ্কার হওয়ার পরও মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রায় ২ বছর লেগে যাবে। সর্বোপরি, জটিল এই প্রক্রিয়া সফল হলেও মহামারি পুরোপুরি দূর হবে না। ভাইরাসের মিউটেশনের কারণে বার বার নতুন টিকার প্রয়োজন হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে বিশ্ববাসী চরম শঙ্কিত। (সমাপ্ত)
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।