পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিকল্প ভাবনা প্রয়োজন
অনেক প্রতীক্ষিত ও আলোচিত এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০ অনিশ্চয়তার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। একদিকে পরীক্ষার্থীরা চরম হতাশায় সময় কাটাচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবং বিকল্প খুঁজছে কীভাবে এর সমাধান করা যায়। যে মুহূর্তে মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে ঠিক এই সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা পড়ালেখা ভুলতে বসেছে। পরীক্ষা কখন হবে, আদৌ হবে কী হবে না, এই নিয়ে সবাই চিন্তিত। ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এখন পরীক্ষার আসনে বসার মতো মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এক কথায় বলা যায়, তারা পরীক্ষার জন্য শতভাগ ফিট নয়। তাছাড়া পরীক্ষা নেয়ার অনুকূল পরিবেশ নেই এই মহাদুর্যোগে। কখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসবে তা-ও বলা কঠিন। এই সংকটকাল হয়তোবা এক সময় থাকবে না। মানুষের বেঁচে থাকতে হবে, পড়ালেখা চলবে, সবকিছুই স্বাভাবিক হবে। এই বিবেচনায় বিকল্প ভাবতে হবে পরীক্ষার্থীদের মাথার বোঝা ঝেড়ে ফেলার জন্য। আমার প্রস্তাবনা: ১) কোনো পরীক্ষা না নিয়ে এসএসসির ফলাফল অনুযায়ী সবাইকে উত্তীর্ণ করা। অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও এটা হতে পারে। তবে যারা আরও ভালো ফলাফলের আশা করছে তারা আগামীতে মানন্নোয়ন পরীক্ষায় বসতে পারে। ২) অনলাইনে পরীক্ষা হতে পারে। সিলেবাস কমিয়ে শুধুমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া যায়। তবে এখানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও ইন্টারনেট অ্যাক্সেস শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। ৩) আর প্রচলিত পদ্ধতির পরীক্ষা নিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুই-তিন দিনে সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি।
অধ্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার
সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।