Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা প্রয়োজন

করোনাভাইরাসের মহামারী শুরু হওয়ার পর সংক্রমণ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর এক সময় সরকার সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ফলে অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যায়, গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। স্থবির হয়ে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা। ফলে আয়-উপার্জন হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ। এক পর্যায়ে লকডাউন শিথিল করায় দোকান-পাঠ চালু হয়, বাস-ট্রেন-লঞ্চ চালু করা হয়। মানুষের জীবনযাত্রাও কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করা হয়নি। খুব সামান্য সংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের পড়ার টেবিল থেকে সরে গেছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর সময় কাটছে আড্ডা দিয়ে, খেলাধুলা করে এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচরণ করে। বিশেষ করে গ্রামে-গঞ্জে শিশু-কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীদের ঘরে কোনোভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না। সেখানে তারা যার যেমন খুশি বন্ধুদের নিয়ে অবাধে ঘুরাফেরা করছে, খেলাধুলা করছে, আড্ডা দিচ্ছে। যে করোনার ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে সেই ভয় কিন্তু এক্ষেত্রেও কোনোভাবেই কম নয়, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরো বেশি। তাই শিক্ষার্থীদের আড্ডা, খেলাধুলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক সময় ব্যয় করা থেকে তাদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু করার বিকল্প নেই। শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
মো. সৈয়দ মাহাবুব আলী
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চি ঠি প ত্র

২ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন