মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকে সাময়িকভাবে আম আমদানির অনুমতি দিয়েছে জাপান সরকার। সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়ে পাকিস্তানে অবস্থিত জাপানের দূতাবাস বলেছে, ‘পোকা নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কৃষিপণ্যের রফতানি সম্প্রসারণ, এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিনিয়োগের মতো কৃষি ক্ষেত্রে জাপান পাকিস্তানকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রফতানিকারকরা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদফতর (ডিপিপি) এবং জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের (এমএএফএফ) গৃহীত পদ্ধতি অনুসারে স্থানীয় ‘সিন্ধ্রি’ এবং ‘চৌসা’ জাতের আমের তিনটি জাহাজে জাপানে প্রেরণ করেছেন।
সাধারণত, জাপান সরকার আমদানির অনুমতি দেয়ার আগে তার পরিদর্শকদের পাকিস্তান এবং অন্যান্য আম রফতানিকারক দেশগুলিতে গুণমানের পরীক্ষা ও ছাড়পত্রের জন্য পাঠায়। তবে, চলতি বছর জাপান সরকার করোনা মহামারীর কারণে পরিদর্শকদের প্রেরণ করতে পারেনি।
২০১৯ সালে, জাপানে রেকর্ড ১২০ টন আম রফতানি করে পাকিস্তান। জাপানের বাজারে পাকিস্তানি আমের চাহিদা প্রচুর।
পাকিস্তানে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাৎসুদা কুনিনোরি সোমবার জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রী সৈয়দ ফখর ইমামের সাথে বৈঠক করেছেন এবং পাকিস্তানি আমের গুণাগুণের প্রশংসা করেছেন। ইমাম জাপানে পাকিস্তানি বাসমতী চাল রফতানি বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিনি জাপানি রাষ্ট্রদূতকে চীন, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ইরানের সাথে সাইট্রাস ফলের ঐতিহাসিক বাণিজ্যের আলোকে পাকিস্তানি সাইট্রাস ফল জাপানি বাজারে প্রবেশের জন্য বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সাইট্রাস ফলের চিকিৎসা বিভিন্ন দেশ গ্রহণ করেছে।’ তিনি জানান, আমদানিকারক দেশগুলোর কাছ থেকে সাইট্রাস ফল নিয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
জাপান সরকার পঙ্গপালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে স্প্রে করতে ৫৮ হাজার ৫০২ লিটার কীটনাশক দিয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা করছে। তারা পাকিস্তানকে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সহায়তা, উচ্চতর পড়াশুনার জন্য বৃত্তি, চাকরির প্রশিক্ষণ কোর্স এবং সরঞ্জামাদি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি গবেষণা ব্যবস্থাকে সহায়তা করে।
জাপানের সহায়তায় পাকিস্তানের জাতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্ল্যান্ট জেনেটিক রিসোর্সেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট চালু হয়েছিল। পাকিস্তানের অনুরোধে জাপানের সরকার জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থাকে ৩০ লাখ ডলারেরও বেশি ব্যয়ে ‘কৃষি-ব্যবসা ও কৃষি-শিল্প উন্নয়ন’ প্রকল্প চালু করার জন্য অর্থও সরবরাহ করেছে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।