মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কলকাতা হাইকোর্ট একটি রায়ে বলেছেন, গায়ের রং কালো বলে বধূ নির্যাতন দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। কনের গায়ের রং কী কালো!’ বা ‘ফর্সা হওয়ার ক্রিম মাখলে যদি একটু গায়ের রং একটু খোলে!’ এই অপমানজনক কথাগুলো বন্ধে দেয়া হয় এই রায়।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় হবে মামলা।–ডেইলি হান্ট, ইন্ডিয়া টাইমস, আজকাল
আর অপমানকর এসব কথা সহ্য না করতে না পেরে দেশটিতে কত মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, কেউ বা শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসেছে। কেউ বা আবার শ্বশুরবাড়ির হাতে খুনই হয়ে গিয়েছে। তাও মানুষের মন তো বদলানো যাবে না। তাই সহায় আইন। কানুনের ভয় দেখিয়ে যদি মুখ বন্ধ রাখা যায়, তার চেষ্টাই করল কলকাতা হাইকোর্ট।
১৯৯৮ সালে কোচবিহারে গায়ের রং কালো বলে এক বধূকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে বিয়ে হয় সেই মহিলার। বিয়ের সময় নগদ ১১ , ০০০ টাকা , তিনটি রুপোর গয়না ও একটি সাইকেল দিতে হয়েছিল মেয়ের বাড়ির তরফে। তিনদিনের দিন থেকে তাঁকে অত্যাচার করতে শুরু করে বর ও বরের আত্মীয়রা। গোয়াল ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। সাইকেলের চেন দিয়ে তাঁকে মারধর করত। একাধিকবার মহিলাকে হুমকি দেওয়া দিত তাঁর স্বামী , তাঁকে ছেড়ে দেবে। আবার বিয়ে করবে। তার কিছুদিন পরেই মহিলার দেহ মেলে ঝুলন্ত অবস্থায়। আত্মহত্যা হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে হত্যা করা হয়েছে বলেই মনে করা হয়। মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ও খুনের অভিযোগে বর মজিউল মিঞা ও তাঁর বাবা - মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা মেলে। ২০১৩ সালে হেফাজতে থাকাকালীনই মজিউলের বাবা মারা যান। আইনজীবী অরুণ কুমার মাইতির কাছ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আর ২৫ জুন সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই নতুন এই রায়ের কথা বললেন বিচারপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি ও শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ । হাইকোর্টের রায় , মহিলার গায়ের রং কালো হওয়ার জন্য তাঁকে যদি মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার করা হয় , তাহলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারার মামলা করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।