২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর অন্যথা হলে রোগ আরও বেশী মাত্রায় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এতে কোন সন্দেহ নাই। অন্যান্য অনেক ভাইরাস রোগের মতই নতুন এই ভাইরাস সংক্রমিত রুগীর কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নাই। তাই প্রতিরোধই এখনও সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ। চলুন যেনে নেই আমরা কি কি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলব।
এই রোগ প্রতিরোধে মুখে অবশ্যই তিন স্তর বিশিষ্ট মাস্ক পড়তে হবে। কাপড়ের মাস্ক পড়লে সেটিকে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে বার বার পড়া যাবে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল মাস্ক পড়া ভাল।
নিয়মিত ভাল একটি টুথপেস্ট দিয়ে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। শুধু ব্রাশ করলেই হবে না বরং এসেনসিয়াল অয়েল মাউথ ওয়াস, পভিডন আয়োডিন মাউথ ওয়াস অথবা হালকা গরম লবন পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে। মনে রাখবেন হালকা গরম লবন পানির মাউথওয়াশ সারা পৃথিবীর সেরা কসমেটিক মাউথওয়াশ। মাউথওয়াশ করোনা ভাইরাসের তীব্রতা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে।
হাত ঠিকমত পরিষ্কার না করে অথবা স্যানিটাইজ না করে মুখে হাত দিবেন না। আঙ্গুল দিয়ে দাঁত মাজন করবেন না। টুথব্রাশ বা মেসওয়াক ব্যবহার করুন। হাত দিয়ে নিজে নিজে কোনো দাঁত দেখতে যাবেন না।
কারো মুখের সামনে যেয়ে কথা বলবেন না বা কেউ কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে চলুন।
অট্টহাসি হাসবেন না। কারণ কথা বলার সময় অথবা অট্টহাসির সময় মাইক্রোড্রপলেট বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যা সহজেই অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে যদি তারা যথাযথভাবে সুরক্ষিত না থাকে।
আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও আপনার মুখের স্বাদ চলে যায়। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ এবং সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
জিহ্বা খুব বেশী তিতা লাগলে মাঝে মাঝে ডাবের পানি খাবেন। টক এবং সাইট্রাস ফল খেতে হবে। মৌসুমি ফল অবশ্যই খাবেন। তবে কিডনী রোগীদের আপেল ও নাসপাতি ছাড়া অন্য কিছু না খাওয়াই ভাল।
করোনা আক্রান্ত হলে দাঁতের খুব জরুরী চিকিৎসা ছাড়া অন্য চিকিৎসা না করাই ভাল। কারণ চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ভাইরাস বিস্তার লাভ করতে পারে। দাঁতে যেন কোনো পেরিওডন্টাল পকেট না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় করোনা ভাইরাস খুব সহজেই হার্টে চলে যেতে পারে এবং রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটাতে পারে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে আপনার মুখে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে অযথা মুখস্ত ওষুধ সেবন করবেন না। খুব বেশী প্রয়োজন হলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সেবন করবেন দুই সপ্তাহের জন্য। আপনি নিজে সচেতন হউন এবং অন্যকে সচেতন করে তুলুন। করোনা ভাইরাস নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা না করে যথাযথ নিয়ম মেনে চলুন।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।