Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের আগ্রাসী মনোভাবে পিছু হটে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১০:২০ এএম

বড় ধরণের সংঘাত থেকে রক্ষা পেলো ভারত। নেপাল হয়ে ভারতে বড় হামলার প্রস্তুতি ছিলো চীনের। তবে ভারত চীনের আগ্রাসী মনোভাব বুঝতে পেলে পিছু হটে। না হলে লাদাখকে কেন্দ্র করে ভারত-চীনের মধ্যে আবারও দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধের সূচনা হত।

১৯৬২ সালে এই হামলার ছক ছিল চীনের। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র রিপোর্টে উঠে আসে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বছরখানেক আগে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আসে। সেখানেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল।

বছরখানেক এই রিপোর্ট সেই সময় জানায় যে, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন সীমান্তে যুদ্ধের পর ফের ভারতে হামলার ছক কষেছিল বেইজিং। একেবারে গোপনে নেপাল, ভুটান এবং মিয়ানমার হয়ে অতর্কিতে ভারতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল চীন।

মূলত তিব্বত নিয়ে সমস্যা এবং সীমান্তে ভারতের সঙ্গে সমস্যার জেরে ১৯৬২ সালে প্রায় এক মাস ধরে যুদ্ধ করে চীন। মাস ধরে চলা যুদ্ধ শেষে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় চীন এবং যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে বেইজিং। এক তরফাভাবে ওই সময় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করার পর ফের ভারতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে চীন।
শুধু তাই নয়, উত্তরাখন্ড, গুয়াহাটি সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত যাতে দখল করা যায়, সে বিষয়েই পরিকল্পনা করেছিল চীন। আকাশ পথেই গোটা উত্তর ভারত দখলের পরিকল্পনা চীনের ছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে।

চীনের উদ্দেশ্যে বারবার ভারত বন্ধুত্বের বার্তা দিলেও চীন সরকার যে কখনও মেনে নেয়নি, সেই বিষয়টিও মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্টে তুলে ধরা হয়। বছরখানেক আগে সামনে আসা এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ঘিরে শুরু হয় জোর বিতর্ক। সেই সময় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল চীন। এমনকি এই রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।

সম্প্রতি, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে ভারতের প্যাংগং লেকের ধারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অস্থায়ী ক্যাম্প। রয়েছে সাজোঁয়া গাড়ি, ও সমরাস্ত্র। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার যে ভারতকে চাপে রাখতে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। ভারতীয় সেনা বরাবরই ফিঙ্গার ১ থেকে ৮ পর্যন্ত টহল দেয়। কিন্তু এবার তা করতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে নয়াদিল্লি। চীন দাবি করছে ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত তাদের এলাকা, যা কখনই মেনে নেবে না ভারত।

প্রায় ৮১ মিটার লম্বা ও ২৫ মিটার চওড়া যে মানচিত্র ও লিপি আঁকা হয়েছে, তা স্পষ্ট চোখে পড়ছে। এইচডি মানের উপগ্রহ চিত্র আরও দেখাচ্ছে যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উস্কানি দিতেই এই মানচিত্র ও লিপি আঁকা হয়েছে। এই ছবি ২৬ জুন তোলা হয়। পরে তা প্রকাশ্যে আসে। এই মানচিত্র ও লিপি ম্যান্ডারিন ভাষায় লেকের ধারে আঁকা হয়েছে। সূত্র: কলকাতা২৪



 

Show all comments
  • Asit sarkar ৪ জুলাই, ২০২০, ৯:০৪ এএম says : 0
    Now question is longevity of earth and existence of life inthis earth .if China and USA and others developed countries fight each other's and show how much they are powerfull to capture small countries and their soverinity then this is not too far to destroy the earth .if the earth is not suitable for others life then their is no need of science and development . India is always peacefull country .fountain Buddha lord born in Nepal .but today Buddhist are all south East Asian countries .India always distribut peace . So if any country India the span of life that country will be sort.so we always pray how to save our world not for business only for existence of human and others species
    Total Reply(0) Reply
  • syed kabir m j ৫ জুলাই, ২০২০, ৯:০২ পিএম says : 0
    Asit Sarker U hv told that India is peace loving.If it's true,then why present India is maltreating Indian Muslims?If Indian Muslims r being tortured,then how India would be a strong nation!20 crore people of a country,if u make them hostile,n u r just doing that,n by doing that,u r also making Bangladeshi Muslims hostile towards India.Because our history is one n we lived in one India just 100 yrs back.So good Indian Hindus should think on this issue n unite all Indians irrespective of religion.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ