বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুরুষের চেয়ে নারীরা বাঁচেন বেশিদিন
স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এখন গড় আয়ু হয়েছে ৭২.৬ বছর। এটি ২০১৯ সালের হিসাব। এর আগের বছরের হিসাবে গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। যা ভারত ও পাকিস্তানের থেকে বেশি। পাকিস্তানে গড় আয়ু ৬৭ বছর এবং ভারতে ৬৯ বছর। ফলে মানুষের বেঁচে থাকা তথা আয়ুর ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় গড় আয়ু ৭৫ বছর, আফগানিস্তনে ৬৪, ভুটানে ৭১ ও নেপালে গড় আয়ু ৭১ বছর। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। পুরুষ বাঁচেন গড়ে ৭১.১ বছর। অন্যদিকে নারীর গড় আয়ু ৭৪.২ বছর। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এই প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিবিএসের হিসাবে পুরুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১.১ বছর। অন্যদিকে নারীর গড় আয়ু ৭৪.২ বছর। এর মানে এ দেশে নারীরা পুরুষের চেয়ে গড়ে বেশিদিন বাঁচেন। ২০১৮ সালে এদেশে গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। এ সময় পুরুষের গড় আয়ু ছিল ৭০.৮ বছর এবং নারীর ৭৩.৮ বছর। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে মরণশীলতার হারও কম। প্রতি হাজারে জাতীয় মরণশীলতার হার ৪.৯ জন।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে ৭, ভুটানে ৬, ভারতে ৭, নেপালে ৬, পাকিস্তানে ৭ ও শ্রীলঙ্কায় ৭ জন। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে গড় জন্মহার ১৮.১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় গড় জন্মহার বেশি আফগানিস্তানে ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে ভুটানে ১৮, ভারতে ১৯, নেপালে ১৯, পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ। জন্মহার সব থেকে কম শ্রীলঙ্কায় ১৫ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, নারীদের তুলনামূলক রোগবালাই কম হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপে কম ভুগেন। তাই তাদের গড় আয়ু বেশি। সারা পৃথিবীতে নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি। প্রতিবছর বিবিএস ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশ করে থাকে।
এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবনের জন্ম, মৃত্যু, আয়ুষ্কাল, বিবাহের মতো অবধারিত বিষয়ের চিত্র ওঠে আসে। ভার্চুয়াল সভায় সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।