Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাঁখা-সিঁদুরই সনাতন ধর্মের নারীদের বিয়ের নিশান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ৯:৪৬ এএম

যৌথ পরিবার থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে যাওয়ার এক নারীর স্বামী বিয়ে বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আর তার সঙ্গে বলেছেন যে শাঁখা-সিঁদুর ছাড়া যে নারী থাকনে সে বিয়েটাই মানেন না। আদালতের কথায় বুঝা যায় শাঁখা-সিঁদুরই সনাতন ধর্মের নারীদের বিয়ের নিশান।

আসামের গুয়াহাটি হাইকোর্টের এক বিচারপতির মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে বিচারপতি এক নারীর উদ্দেশে বলেন, শাঁখা-সিঁদুর পরেন না, মানে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানই মানেন না!

কলকাতার এই সময় জানায়, বিয়ের কিছু মাস পরেই ওই নারী যৌথ পরিবার থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তার স্বামীর অভিযোগ, আলাদা থাকতে চাওয়ার দাবি নিয়ে বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। যা দুজনের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে। এমনকী ওই নারী সন্তান নিতেও চান না বলে অভিযোগ করেন স্বামী।

এর কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন নারী। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে আদালত জানিয়ে দেয়, স্বামীর পক্ষের কারো এই ঘটনায় দোষ নেই।

এরপর সহিংস আচরণের অভিযোগ তুলে ওই নারীর স্বামীই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাও আদালত বাতিল করে জানায়, স্বামীর ওপর ওই নারীর অত্যাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর সেই মামলা যায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে। সেখানে স্বামী অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরতে চান না। এই দাবি অস্বীকার করেননি স্ত্রীও।

এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, “যে নারী শাঁখা-সিঁদুর পরতে চান না, তিনি আসলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাই মানতে চান না।” সেই মোতাবেক স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার পক্ষেই রায় দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর থাকা মানে পুরুষটির অপদস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।”

যদিও আদালতের এই মন্তব্যের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শাঁখা-সিঁদুর কে পরবেন আর কে পরবেন না, সেটা একজন মানুষের ব্যক্তিগত অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় বইছে।

এ দিকে কিছুদিন আগেও আরেক বিচারকের মন্তব্যে ভারতে সমালোচনার ঝড় উঠে। কর্নাটক হাইকোর্টের এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকা এক ধর্ষিতাকে বিচারক প্রশ্ন করেন, “নারী হয়েও আপনি রাত ১১টায় কেন অফিস গিয়েছিলেন? মদই বা পান করেছিলেন কেন?”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ