পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের সহযোগীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় টর্চার সেল থেকে ১৪ বোতল ফেনসিডিল, বেশ কয়েকটি অস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি জব্দ করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো- মফিজউদ্দিন মফিজ, আনোয়ার ও আরিফ। এর মধ্যে মফিজ পিচ্চি হেলালের সহযোগী হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভ‚মি দখল ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো।
র্যাব-২ এর এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, মফিজউদ্দিন কুখ্যাত সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের সহযোগী। এই এলাকায় যত ভ‚মিদখল হয় সব তারা নিয়ন্ত্রণ করত। ফেনসিডিলের চালান নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণ করার অভিযোগে মফিজউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার কার্যালয়ে যাই। এ সময় তার কার্যালয় তল্লাশি করে ১৪ বোতল ফেনসিডিল পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মফিজউদ্দিনের কোমরে অস্ত্র পাওয়া গেছে। অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও ৫০ রাউন্ড গুলির মধ্যে ২৫ রাউন্ড ব্যবহার করেছেন। তবে ব্যবহৃত গুলির কোনো হিসাব তিনি দেখাতে পারেননি। এছাড়া এসএমজির ছয় রাউন্ড গুলিও পাওয়া গেছে।
তিনি আরো জানান, কার্যালয়টি তারা টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতেন। মফিজউদ্দিন মফিজ মূলত অস্ত্র ভাড়া দিয়ে থাকেন। চাঁদ উদ্যান, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করতেন মফিজউদ্দিন ও তার সহযোগীরা।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১ অক্টোবর খুন হন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার কে এম আহমেদ রাজু। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে রাজুকে। শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল এই খুনের পরিকল্পনাকারী ছিলেন। এছাড়া কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় পিচ্চি হেলাল ও সাবেক কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুরে তছির উদ্দিন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় জেলে বসে নির্দেশ দেন হেলাল। কারাগারে থাকলেও ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে আগের মতোই ভয়ঙ্কর ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।