মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতজুড়ে গ্রামাঞ্চলের ডাক্তারখানা থেকে শুরু করে শহরের নামি বেসরকারি হাসপাতাল সবজায়গায় একের পর এক ‘ভুয়া' ডাক্তারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। ওদের কেউ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, কেউ কবিরাজি, অথবা হেকিমি। কেউ আবার নিছকই বি কম পাশ। অথচ এদের কেউ কেউ রীতিমতো সাইনবোর্ড লাগিয়ে চেম্বার খুলে পশার জমিয়ে বসেছেন, কেউ আবার যুক্ত হয়েছেন কোনও নামি বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে। এবং সেখানেই দিব্যি চিকিৎসা করে গেছেন এইসব জাল বা ভুয়া ডাক্তাররা। ওদের ভিজিটিং কার্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাডে, সাইনবোর্ডে নামের পাশে জুড়ে গেছে এমবিবিএস, এফআরসিপি থেকে শুরু করে যাবতীয় ভারী ভারী ডিগ্রি, যা অর্জনের যোগ্যতা এদের কেউ দেখাতে পারেননি।
দেশটির গ্রামাঞ্চলের প্রতি তিন চিকিৎসকের মধ্যে দুইজনই ভুয়া। অর্থাৎ, মেডিকেল পড়াশোনা না করেই তারা দিনের পর দিন মানুষের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ভারতের ১৯টি রাজ্যে ১ হাজার ৫১৯টি গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জরিপ চালায় সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর) নামে একটি দাতব্য সংস্থা। সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাদের এ জরিপের ফলাফল।
জরিপে দেখা গেছে, ভারতের ৭৫ শতাংশ গ্রামে একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং একটি গ্রামে গড়ে তিনটি করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে ৮৬ শতাংশই বেসরকারি চিকিৎসক কাজ করেন এবং ৬৮ শতাংশের কোনও ধরনের মেডিকেল শিক্ষা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬ সালের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছিল প্রায় একই ধরনের তথ্য। সংস্থাটি সেসময় জানিয়েছিল, ভারতের ৫৭ দশমিক ৩ শতাংশ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের কোনও মেডিকেল শিক্ষা নেই। এদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ আবার দশম বা দ্বাদশ শ্রেণী পাস করেই ডাক্তারি করে যাচ্ছেন।
জরিপে দেখা গেছে, ভুয়া ডাক্তারের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। এছাড়া, উত্তরপ্রদেশ, বিহারের অবস্থাও ভয়াবহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।