মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় আব্বাসীয় খিলাফত যুগের শেষের দিকের কয়েক ডজন নিদর্শন পাওয়া গেছে। একটি গাড়ি পার্কিং নির্মাণের সময় এই প্রন্ততাত্তি¡ক নির্দশনগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। এর ফলে দেশটির ক্রমবর্ধমান পর্যটন খাত আরও বাড়বে বলে আসা করা হচ্ছে।
মক্কা শহরের আল-মু’আল্লা কবরস্থান উদ্ধার করা এই নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৪ টি খোদাই করা সমাধিপাথর। এর মধ্যে একটি ১২৫৭ সালের। এগুলো আবিষ্কারের পরে সউদীর পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সউদী আরব প্রথমবারের জন্য পর্যটন ভিসা চালু করার কয়েক মাস পরে এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটিকে সম্প্রতি কমিশনের পদে উন্নীত করা হয়।
আল-মু’আল্লা কবরস্থানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একাধিক আত্মীয়ের কবর রয়েছে। এর আগেও নির্মাণ কাজের সময় সেখানে বিভিন্ন প্রন্ততাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে সেখানে আরও কয়েকটি সমাধিস্তম্ভ পাওয়া গিয়েছিল।
মদীনার সুপরিচিত জান্নাত আল-বাকীর সমসাময়িক এই কবরস্থানে কবরের উপরে গম্বুজ এবং বিভিন্ন কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। ১৯২৫ সালে মক্কা এবং হিজাজ অঞ্চল জয় করার পরে সউদী কর্তৃপক্ষ এগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সেখানে এ ধরণের নিদর্শন পাওয়াটা আশ্চর্যজনক কিছু নয়।
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সমাধি এবং কাঠামো ধ্বংস করাটা একটি বিতর্কিত বিষয়। অনেকে সুন্নী ইসলামের অনুসারী সউদীদের এ ধরণের তথাকথিত গোঁড়ামিকে ‘ওহাবীবাদ’ বলে অ্যাখা দিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ঐতিহ্য নষ্ট করার অভিযোগ করেছেন। তবে, অনেক মুসলিম স্কলার এই ধ্বংসের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের যুক্তি, এ জাতীয় কাঠামো ইসলামবিরোধী এবং নবীজি নিষিদ্ধ করেছেন।
পর্যটন শিল্পকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এই নিদর্শনগুলো সংগ্রহ করছে সউদী পর্যটন মন্ত্রণালয়। করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার জন্য এই খাতে মনোযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। পর্যটন বিকাশের জন্য তারা ৪ বিলিয়ন ডলারের তহবিল চালু করার পরিকল্পনা করেছে এবং উপসাগরীয় দেশটিতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ‘সউদী সামার’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। সউদী অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে এবং ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জন করাই এর উদ্দেশ্য। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।