মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসলামিক স্টেটের প্রধান আমির মহম্মদ সাইদ আব্দুল-রহমাল-মাওলাকে ধরতে পুরস্কার মূল্য দ্বিগুণ করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আল-মাওলা নামেই বেশি পরিচিত। তাকে ধরিয়ে দিলেই ১ কোটি ডলার পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
সাবেক প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকে ধরতেও পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর বাগদাদি নিহত হওয়ার পর আইসিসের দায়িত্ব নেন আল-মাওলা। তিনি হাজি আবদুল্লাহ ওরফে আবু-উমর তুর্কমানি নামেও পরিচিত। ২০১৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন সেনার হামলায় আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হলে, তার উত্তরসূরি হিসেবে ইসলামিক স্টেটের প্রধান হন হাজি আবদুল্লাহ।
ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট’স রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রোগ্রাম বুধবার বর্ধিত আর্থিক অঙ্ক দ্বিগুণ করার কথা জানিয়ে বলে, ৫ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার বাড়িয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। আইসিসের নতুন প্রধান কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, সে সম্পর্কিত তথ্য দিতে পারলেই মিলবে এই অর্থ। ঠিকানা জানা না-থাকলেও হবে। সে ক্ষেত্রে শনাক্তকরণ সম্পর্কিত বিশদ তথ্য দিতে হবে।
আল-মাওলার জন্ম ইরাকের মসুলে, ১৯৭৬ সালে। আইসিসে যোগ দেওয়ার আগে ইরাকে আল-কায়দার সন্ত্রাসবাদী নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। আইসিসে যোগ দেন বাগদাদির ডেপুটি হয়ে। আইসিস-এর অন্যতম মতাদর্শী হিসাবে আল-মাওলা ও উত্তর-পশ্চিম ইরাকে ইয়াজিদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু অপহরণ, হত্যা থেকে পাচার, সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত বলে মার্কিন দাবি। আইসিস গোষ্ঠীর কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী অভিযানের নেতৃত্বও তিনি দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ আল-মাওলাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার ফলে কোনও মার্কিন নাগরিক আল-মাওলার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। এসব জানা সত্ত্বেও কোনও মার্কিনি আল-মাওলা বা আইসিসকে কোনও ভাবে সাহায্য করলে, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর অক্টোবরে আল-বাগদাদির মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাম্প জানান, ইসলামিক স্টেট গ্রুপের পলাতক নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিকে খতম করেছে মার্কিন বিশেষ বাহিনী। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসবাদী আবু বকর আল-বাগদাদিকে বিচারের আওতায় এনেছেন মার্কিন সেনারা।’ তিনি জানান, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় রাতের বেলায় এক অভিযান চালানো হয়েছিল। মার্কিন সেনার বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষিত কুকুর ধাওয়া করেছিল বাগদাদিকে। সে সময় আবু বকর আল-বাগদাদি নিজের শরীরে থাকা সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে। ট্রাম্প এ-ও জানিয়েছিলেন, অভিযানে কোনও মার্কিন সেনা নিহত হয়নি, বরং আল-বাগদাদির বেশ কয়েক জন অনুসারী নিহত হয়েছে। এই বাগদাদিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্যও ২০১১ সালে মার্কিন সরকার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল। পরে সেই পুরস্কারের আর্থিক অঙ্ক বাড়িয়ে ২৫ মিলিয়ন ডলার করা হয়। সূত্র: ফক্স নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।