পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী মোস্তাক হোসাইন (৩২) ও তার শ্বশুর জাকির হোসাইনকে (৬০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের একজনকে বগুড়া থেকে, অন্যজনকে রাজশাহীর বাঘা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ মামলার অপর দুই আসামি সুমাইয়ার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা দুপুরে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া বেগমের লাশ তার স্বামীর বাড়ি নাটোর শহরের হরিশপুর বাগানপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। গত সোমবার রাতে এ ঘটনায় সুমাইয়ার মা বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই রাতেই তার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার স্বামী ও শ্বশুর গা ঢাকা দেন। তাদের ধরতে জেলা পুলিশ আটটি দল গঠন করে। গত বুধবার রাতে আটটি দল দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। শেষ পর্যন্ত গতকাল সকালে তার স্বামী মোস্তাক হোসাইনকে রাজশাহীর সীমান্তবর্তী বাঘা উপজেলা থেকে এবং শ্বশুর জাকির হোসাইনকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ছাড়াও পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরাম হোসেন, নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন উপস্থিত ছিলেন।
সুমাইয়ার মা নুজহাত বেগম মূল আসামিদের গ্রেফতারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এখন পুলিশের দায়িত্ব হবে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুমাইয়া হত্যার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।