বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেল মোটেল,রেস্তরা খোলার অনুমতি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম। এর ফলে আবার ফিরে আসবে কুয়াকাটা সৈকতের প্রানচাঞ্চল্যতা। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর আবাসিক হোটেল মোটেল রেস্তরা ও পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেয়ার নির্দেশনায় খুশি ব্যবসায়ীরা। এখবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটকরা অগ্রিম বুকিং এর জন্য যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন এমনটাই জানিয়েছে হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সুত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১৪টি শর্ত মেনে চলতে হবে আবাসিক হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষকে। যে সকল আবাসিক হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা। আবাসিক হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ করোনা থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসনের দেয়া ১৪টি শর্ত মেনে আবাসিক হোটেল পরিচালনা করছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে একটি ভ্রাম্যমান টিম দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকবে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও ৭সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ জানান,কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুই জনের কক্ষে একজন পর্যটক থাকতে পারবেন। একটি রুমে একাধিক পর্যটককে থাকতে দেয়া হবে না। ভাড়া পূর্বের নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে। যেসকল পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদেরকে হোটেলে ঢুকতে দেয়া হবে না। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল মোটেল,রেস্তরা মালিক ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষন দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে হোটেলে পর্যটকদের সেবা দিবেন সে বিষয়ে ট্যুরিজম বোর্ড ও হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন যৌথভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছেন।
গত ১৮ই মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকায় আবাসিক হোটেল মোটেল,রেস্তরা,পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,ট্যুর অপারেটর,ট্যুরিষ্ট গাইডসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রায় ৫হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পরে। এতে প্রায় দুই’শ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ইলিশ পার্ক ইকো রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ী রুমান ইমতিয়াজ বলেন, করোনা থাকবে দীর্ঘদিন। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আবাসিক হোটেল মোটেলসহ পর্যটনমুখী ব্যবসায়িদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। আগত পর্যটকদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের লকডাউনে গত চার মাসে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা প্রায় দুই’শ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেল মোটেল খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেওয়ায় পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রায় ৫হাজার মানুষ আবার কর্মমুখী হবে। ফিরে আসবে সু-দিন।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, জেলা প্রশানের সাথে কয়েকবার বৈঠকের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৪টি শর্ত সাপেক্ষে ১লা জুলাই থেকে আবাসিক হোটেল মোটেল,রেস্তরা খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। আবাসিক হোটেল মোটেল ও পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের লোকসানের দিকে তাকিয়ে জেলা প্রশাসন এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আবাসিক হোটেল মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটক রাখছে কিনা জেলা প্রশাসন ও হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন যৌথ ভাবে তা পর্যবেক্ষন করবেন। পর্যটকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতে হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হবে তাদের প্রতিষ্ঠান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।