বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশী-বিদেশী পর্যটকের উপস্থিতিতে টইটুম্বুর সূর্যদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতিতে স্ব-রুপে ফিরে কুয়াকাটা। সকল হোটেল মোটেল বুকিং থাকায় অনেক পর্যটক বাসা-বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আগত এ সকল পর্যটকরা সমুদ্রের নো-জলে গা ভাসিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেকে আবার পরিবার- পরিজনদের সাথে সেলফি তুলে ছেড়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পর্যটকের এমন ভীড়ে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। আগত এসকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ দৃস্টিনন্দন পর্যটন স্পটগুলো এখন আগত দর্শনার্থীদের সরব উপিস্থিতি। এদিকে টানা তিনদিনের ছুটিতে আগে ভাগেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেলগুলোর রুম বুকিং হয়ে গেছে। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে এমন পর্যটকদের আগমন ঘটে। আর এ রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও এখন বেজায় খুশি। এর ফলে করোনা কালীন সময়ের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
পর্যটক মেহেদী হাসান বলেন, তিনদিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা এলাম। এর আগেও কয়েকবার এখানে এসেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশ উন্নতি হওয়ায় এখন আর কুয়াকাটা আসতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। তাই বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে এবার ট্যুরে এসেছি। তবে অভ্যান্তরীন সড়ক গুলো মোটেই ভালনা। এগুলোর সংস্কার কিংবা মেরামত হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। অপর এক পর্যটক খুশি আক্তার বলেন, কুয়াকাটার পরিবেশটা অনেক সুন্দর, ভালো লাগছে। বাবা মা ছাতার নিচে বসে আছে, আমরা ছবি তুলছি, বাচ্চারা খেলা করছে। এদিকে সৈকতে তিন বন্ধু মিলে বালু দিয়ে উচু করে কি যেন তৈরী করার চেষ্টা করছে। এ সময় তাদেরই একজন মিজান বলেন, সমুদ্রে গোসল করেছি। এখানে এসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখলাম। তারা আরো দু’দিন থাকবেন।
সমুদ্র বাড়ি রিসোর্ট’র ব্যবস্থপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, আগেই আমাদের সবগুলো রুম বুকিং রয়েছে। আগামী ১৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবকক্ষ অগ্রিম বুকিং দেওয়া রয়েছে। নতুন কাউকে রুম দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় এখন পর্যটকদের আগমন বেড়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বিজয় দিবস ও সরকারি তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছে। তবে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারে এবং কোনো ধরেনে প্রতারনার স্বীকার না হয় সে জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক নজড়দারি ও মাইকিং করে বারবার মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।