Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত এখন বস্তিতে রূপান্তরিত

যেনো দেখার কেউ নেই

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:১৯ পিএম

পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকত এখন বস্তিতে রূপ নিয়েছে। ধু-ধু সাদা বালুর উপরে নতুন করে ঘর তৈরী করে ময়লা আর্বজনায় নাকাল গোটা সৈকত।

বিশ্বের কোন দর্শনীয় সৈকতে এমন দৃশ্য নেই বলে অভিযোগ কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ৪৮ নং পোল্ডারে বেড়িবাঁধ সংস্কার করার জন্য চীনা কোম্পানী কাজ করলে রাস্তার উপরে থাকা ছোট ছোট ঘরগুলো বালুর চরে গিয়ে আবার ঘর তেরী করে। প্রায় ২ শতাধিক পরিবার স্থানীয় পৌরসভা থেকে ঘর তোলা নিয়ে মৌখিক অনুমতি আনতে গেলে তারা নিষেধ করেছে এমটা খবর পাওয়া গেছে। নোংরা দুষিত এই পরিবেশ দেখে পর্যটকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দ্রুত এ বস্তিগুলো অপসারণ না করলে কুয়াকাটা থেকে আগত পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে এমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করছে কুয়াকাটার ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে-কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে বেরিবাঁধের উপরে থাকা প্রায় দুই শতাধিক ছোট ছোট ঘর ভেঙ্গে নিয়ে রাতের আঁধারে সৈকতে স্থাপনা তৈরী করে। পাউবো কর্তৃক চীনা কোম্পানী ওই বেরিবাঁধ সংস্কারের জন্য গত বছর এ কাজ হাতে নেয়এবং আর সৈকতের সৌর্ন্দয্য বর্ধণে পরিকল্পিত ভাবে কাজ শুরু করে। ক্ষতিপূরণ টাকা পেয়েও অনেক জেলে পরিবার সাগরে মাছ ধরার র্স্বাথে বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে খামখেয়ালীপনার আশ্রয়ে সৈকতে অবস্থান গেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষে কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান করলেও কিছুদির পর আবার ভুমি অফিসের নজরদারী না থাকায় ওই ঘরগুলি তৈরী করছে জেলেরা।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নাদিয়া সুলতানা (২৯) জানান, কুয়াকাটা বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দর্শনীয় স্থান তাই সবার মতো আমিও আসি কিন্তু বীচে নামতেই যা দেখছি তা আশা করিনি। নোংরা পরিবেশ আর সাগর পাড়ে বস্তির মত ঘরবাড়ী, জেলেদের নৌকা পরে আছে, জাল থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে এসব দেখলে দেশী বিদেশী পর্যটক আসবেনা। এছাড়া সৈকতের ২ কিলোমিটার পরে যে প্রকৃতির ছোয়া আছে তা দেখে মুগ্ধ হয় আমার মতো অসংখ্য পর্যটক।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)‘র সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, সৈকতে যে অব্যবস্থাপনা ঝুপরি ঘরবাড়ী নোংরা পরিবেশ এসব সী-বিচ ম্যানেজমেন্ট অদক্ষের কারণে এইসব আমাদের দেখতে হয়। বিশ্বর কোন সৈকতে এই পরিবেশ নেই। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সুন্দর পরিবেশ করার জন্য এসব দ্রুত পরিস্কার দরকার-প্রয়োজনে আমরা সাথে থাকবো।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র বারেক মোল্লা জানান, আমি লোকজনকে ছোট ছোট ঘরগুলো বালুর চরে গিয়ে উঠাতে না বলছি তার পর লোক জন বালুর চরে ঘর তুলছে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট বলেন, কুয়াকাটায় একটি বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে যার নেই কেনো কার্যক্রম, এটিকে সচল করা হলে এই সমুদ্র সৈকতকে সুনদরভাবে পরিচালনা করা যায়।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা বীচ-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিবুর রহমান মুনিব জানান, সৈকতে যে ঝুপরি ঘরবাড়ী রয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো অপসারনকরা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুয়াকাটা সৈকত

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৪ জানুয়ারি, ২০২২
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ