মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও চীনের সেনা পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকেও সংকট নিরসন হয়নি। বরং ভারতের দাবী করা ভূখণ্ডে আবার ঢুকে পড়েছে চীনের সেনাবাহীনি। যদিও চীন দাবি করে গালওয়ান উপত্যকার ওই ভূখণ্ডটি তাদের সীমানায় পড়েছে।
এদিকে বুধবার লাদাখ সীমান্তে ভারতের দাবি করা ভূখণ্ডে আবার ফিরে এসে শক্তি বৃদ্ধি করেছে চীনা সেনারা।
দ্য হিন্দু জানায়, গালওয়ানের ওই ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের পর্যবেক্ষণ পোস্ট স্থাপন করার ছবি স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে।
দুই দেশের সীমান্ত বিরোধের সময় ১৫ জুন উপত্যকার ওই চীনা পোস্ট ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। তবে ২২ জুন নতুন স্যাটেলাইট চিত্রে সেখানে চীনা সেনাদের ফের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এর আগে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, সীমান্তে আমাদের ভূখণ্ডে কেউ অনুপ্রবেশ করেনি। বর্তমানে সেখানে কারও অবস্থান নেই। আমাদের কোনো পোস্টও কেউ দখল করেনি।
যদিও এর মধ্যে বুধবার ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান মনোজ নারাভানে লাদাখ সীমান্ত সফর করে সেখানে দায়িত্বরত সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন। সাম্প্রতিক চীনের সঙ্গে বিরোধে সেনাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাদের পুরস্কৃতও করেন তিনি।
দুই দিনের সে সফরে ভারতীয় সেনা প্রধান পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানে দায়িত্বরত সেনাদের দিক নির্দেশনা দেন।
এ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, যখনই সেনাপ্রধান কোনো ফরম্যাশন বা ইউনিটে যান সেখানে দায়িত্ব পালনে অসামান্য ভূমিকা রাখার জন্য তাদের পুরস্কৃত করেন।
তবে ভারত ও চীনের সেনা কর্তৃপক্ষের কমান্ডার পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর জেনারেল নারাভানে লাদাখ সীমান্তে সফর করেন। আলোচনায় দুই পক্ষই সম্মত হয় যে, পশ্চিম লাদাখের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) বিরোধপূর্ণ সীমানা থেকে সরে আসবেন তারা।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, মে মাস থেকে লাদাখে অমীমাংসিত সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি, পাথর ছোড়াছুড়ির মতো একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীন তার সীমান্তে যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি ঘটায়।
এর মধ্যে জুনের শুরুতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা, নাকুলা এবং প্যাগং লেকের উত্তরপ্রান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) পেরিয়ে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে চীনা সেনারা। এই ঘটনায় দুই দেশের সেনা পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকেও সংকট নিরসন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।