নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
![img_img-1719390034](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678440025_nnn.jpg)
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতবছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার একটি ক্রিকেটারদের আন্দোলন। সেই আন্দোলনকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল একটি খবরে- ‘সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ’। জুয়াড়ির কাছ থেকে তিন দফায় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় গত অক্টোবরে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান দেশসেরা এই ক্রিকেটার। যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি স্থগিত। সব ধরণের ক্রিকেট কার্যক্রমের বাইরে থাকতে হবে তাকে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। আর মাত্র চার মাস পরই নিজের জগতে ফিরবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
তবে তার আগে সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন সাকিব। যেখানে আইসিসি দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর নিজে বিস্তারিত সবকিছু জানিয়ে দেওয়ার কারণেই আরও বড় শাস্তি এড়ানো গেছে বলে মনে করেন সাকিব। সেই সাথে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার বলছেন, এমন গর্হিত অপরাধের শাস্তি হিসেবে ৫-১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারতেন তিনি! নিজের ভুল থেকে বড় শিক্ষা পেয়েছেন বলেও জানালেন সাকিব।
সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন, দুর্নীতি দমন ক্লাস যিনি অনেক করেছেন, তিনি কেন বারবার প্রস্তাব পেয়েও তা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানাননি, এই প্রশ্ন সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই উঠেছে অনেকবার। গতকাল ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বললেন, জুয়াড়ির সঙ্গে কথোপকথনকে তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি। সেই ভুল বুঝতে পেরেছেন পরে, ‘আমার মনে হয়, আমি এটা একটু বেশিই হালকাভাবে নিয়েছিলাম। অবশ্যই আমি এই প্ল্যাটফর্মে বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করতে চাই না। আমি যখন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলাম এবং বললাম, তারা সবকিছু জানে, সব প্রমাণ দিলাম, ভেতরে-বাইরের সবকিছু তারা খুঁটিনাটি সব জানে, সত্যি কথা বলতে, এই কারণেই মাত্র ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। নইলে ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম।’
তারকা ক্রিকেটার হিসেবে অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে তারা আসেন নানাভাবে। সাকিবের দাবি, সে কারণেই জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তব পাওয়ার কথা তিনি ভুলে গিয়েছিল, ‘দেখুন, আমরা হাজারও ফোনকল পাই, ম্যাসেজ পাই, কয়টা আর মনে থাকে! একটা উদাহরণ আমি দিতে পারি, ওই লোকটি যখন শেষবার ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল, আমি জবাব দিয়েছিলাম, ‘সরি, কার সঙ্গে কথা বলছি?’ তার মানে, আমার মনেও ছিল না, কার সঙ্গে কথা বলছি। তার সঙ্গে আগে কথা বলেছি ২-৩ বছর আগে। ওই সময় আমি জানতামও না লোকটা কে, তার নম্বরও আমার কাছে ছিল না। যাহোক, তারা যখন (আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ) তদন্ত করেছে, এসব তারা জানত এবং পরিস্থিতি বুঝেছে। তবে সত্যি বলতে, কারও উচিত নয় এসব হালকাভাবে নেওয়া। ওই ধরনের ম্যাসেজ বা কল কারও হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় বা ওভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানানো উচিত নিরাপদে থাকতে হলে। এই শিক্ষা আমি পেয়েছি, বড় শিক্ষা এটি।’
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার তিনি কোনো সংশয় ছাড়াই। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারও। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগে গত বছর বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। সাকিবের দাবি, এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই অনেক কিছু পাত্তা দিতে চাননি তিনি, কাল হয়েছিল এটিও, ‘যেহেতু সবসময় বেশির ভাগ ব্যাপারই ঠিক করেছি, কখনও কখনও সেই বোধ পেয়ে বসতে পারে। মনে হতে পারে, ‘কী আর হবেৃ কিছুই হবে না। আমি তো ভুল কিছু করছি না..।’ কিন্তু কেতাবি হিসেবে তো ভুল হচ্ছে। হয়তো নৈতিকতার দিক থেকে ভুল হচ্ছে না, কিন্তু আইন বা নিয়মের দিক থেকে ভুল হচ্ছে। অনেক সময় এটি মনে থাকে না। এটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছিল। আমি কখনোই ভাবতে পারিনিৃ মাথায়ই আসেনি যে ভুল করতে পারি। পাত্তা দিতে চাইনি। সেই ভুলই আমি করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।