Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাদাখ থেকে সৈন্য পেছানোর সিদ্ধান্ত ভারত ও চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১১:৩৯ এএম

লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে চীন ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুন) দু’টি দেশই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব লাদাখ থেকে পিছু হঠবে তারা। সেনা কমান্ডার পর্যায়ে দীর্ঘ বৈঠকের পরে চীন ও ভারত ঠিক করেছে যে পূর্ব লাদাখে যতগুলো এলাকা নিয়ে পরস্পর মধ্যে বিরোধ রয়েছে, সেই সব এলাকা থেকে দুই বাহিনীই পিছিয়ে যাবে।

যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো আসেনি, কিন্তু নির্ভরযোগ্য সেনা সূত্রগুলো জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে দুই বাহিনী ঠিক কীভাবে পিছিয়ে যাবে বা কবে থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কাজ হবে, সেসব খুঁটিনাটি দুই বাহিনী এরপরে ঠিক করবে।

চীনের সরকারি সংবাদপত্র পিপলস ডেইলিও সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে টুইট করেছে যে দুই সেনা কমান্ডারের মধ্যে এই দ্বিতীয় বৈঠকটি প্রমাণ করে যে আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়েই মতবিরোধ মিটিয়ে নিতে আর উত্তেজনা কমাতে চাইছে দুই দেশই।

মে মাসের গোড়া থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেও এই বৈঠকটি খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা সূত্রগুলো। আলোচনাও গঠনমূলক হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।

এই বৈঠকে ভারতের তরফে ফোরটিন কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারিন্দার সিং ছিলেন আর চীনের দিক থেকে ছিলেন তিব্বত সামরিক জেলার কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। বৈঠকে ভারত আবারও বলেছে যে গালওয়ান উপত্যকায় চীন পূর্ব পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছিল।

এদিকে গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত-চীন সম্পর্কে অভূতপূর্ব উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নয়াদিল্লি-বেইজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তেজনা প্রশমনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। গতকাল রাশিয়া-ভারত-চীন (আরআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, বাইরের সাহায্য দরকার নেই দুই দেশের। নিজেরাই সমস্যা মিটিয়ে নিতে সক্ষম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ