নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান-ভারত সর্বশেষ কবে দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলেছে মনে আছে? একটু মনে করিয়ে দিই- সর্বশেষ সেই ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই প্রতিবেশী। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সংক্ষিপ্ত এক সফরে ভারতে এসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এরপর দুই দলের ম্যাচ দেখতে চেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টের জন্য। দু’দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনটাই কাল হয়েছে প্রতিবেশীদের ক্রিকেট সম্পর্কে।
সম্পর্কের সেই বরফ গলুক ভারত–পাকিস্তানের, এটা তো যে কোনো ক্রিকেট ভক্তেরই চাওয়া। ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট দ্বৈরথ দেখতে চাচ্ছেন শোয়েব মালিকও। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের মতে ভারত–পাকিস্তান লড়াই মানে বিশ্ব ক্রিকেটের আরেকটু এগিয়ে যাওয়া।
পাকিস্তানের পাকপ্যাসন ডট নেট নামের এক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন ভারত–পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিত সিরিজ জরুরি সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন মালিক, ‘আমি মনে করি ক্রিকেটের যেমন অ্যাশেজকে দরকার তেমনি এই লড়াইটাও (পাক-ভারত সিরিজ) খুব করে প্রয়োজন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া কি অ্যাশেজ সিরিজ ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের কল্পনা করতে পারে? দুটি সিরিজই তো একইরকম আবেগ ও তীব্রতা নিয়ে খেলা হয়। আর দুটোরই কী সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমরা যে এখন খেলছি না সেটি খুবই দুঃখজনক।’
ভারতের মেয়ে টেনিস তারকা সানিয়া মীর্জাকে বিয়ে করা মালিক বললেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাক-ভারত সিরিজ আয়োজন করা উচিৎ, ‘আমার পাকিস্তানি বন্ধুরা যখন ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলে তাতে শ্রদ্ধা ও প্রশংসাই থাকে। একইভাবে আমি ও আমার পাকিস্তানি সতীর্থেরা যখনই ভারতে খেলতে গেছি ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। এ কারণেই আমি চাই যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফিরুক এই দ্বৈরথ।’
সাক্ষাৎকারে ভারতের বিপক্ষে নিজের সবচেয়ে সুখকর স্মৃতির প্রসঙ্গও টেনেছেন মালিক, ‘ব্যক্তিগত কারণে ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচটি। যে ম্যাচে ১২৮ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছিলাম। এরপর ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ। যে ম্যাচে ১২৭ বলে ১৪৩ রান করার পর শচীন টেন্ডুলকার ও যুবরাজ সিংয়ের উইকেট নিয়েছিলাম। তবে ২০০৪ সালে কলকাতার ওয়ানডেটাও আমি উপভোগ করেছিলাম। ওই ম্যাচটা ২৯৩ রান তাড়া করে জিতি আমরা। ঈদের আগের দিন ছিল সেটি, আর কৃত্রিম আলোর নিচে ইডেন গার্ডেনের পরিবেশ অবিশ্বাস্য ছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।