নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রমিজ রাজা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হওয়ার পর শোনা যাচ্ছে নানা ইতিবাচকতার পদধ্বনি। তবে একটি জায়গায় তিনিও অসহায়। ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার থেকে প্রশাসক হওয়া সাবেক এই পাকিস্তান অধিনায়ক বললেন, সহসাই ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক লড়াই শুরুর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখেন না।
আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর গতপরশু লাহোরে হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রমিজ। পিসিবি চেয়ারম্যান হিসেবে তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ওঠে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। রাজনীতিকে দায় দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান বললেন, তার তাড়া নেই, ‘এই মুহূর্তে এটা (ভারত-পাকিস্তান সিরিজ) অসম্ভব। কারণ ক্রীড়ার কাঠামো ও আদর্শকে নষ্ট করে দিয়েছে রাজনীতি। আপাতত এটা থমকে আছে এবং আমাদেরও এই জায়গায় কোনো তাড়া নেই, কারণ নিজেদের ঘরোয়া ও স্থানীয় ক্রিকেটে নজর দিতে হবে আমাদের।’
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক লড়াই বন্ধ ৮ বছর ধরে। সবশেষ ২০১৩ সালে ভারতে দুই টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের ছোট্ট সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। দুই দেশের টেস্ট লড়াই সবশেষ হয়েছে ২০০৭ সালে। এখন স্রেফ আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোয় দেখা হয় দুই দলের। এমনই এক লড়াই আগামী ২৪ অক্টোবর। দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি, বিশ্বকাপে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এবার সেই খরা ঘোচাতে দলকে উদ্বুদ্ধ করেছেন রমিজ, ‘সবচেয়ে আকর্ষনীয় লড়াই এটি এবং পাকিস্তান দলের সঙ্গে যখন দেখা করেছি, তখন বলেছি যে এবার চিত্র বদলে দেওয়া দেখতে চাই আমি। দলকে অবশ্যই এই ম্যাচে শতভাগ সক্রিয় থাকতে হবে এবং ভালো করতে হবে।’
রমিজ রাজা দায়িত্ব নেওয়ার আগেই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মিসবাহ-উল-হক ও ওয়াকার ইউনিস কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পেছনেও রমিজের দায়িত্ব নেওয়ার সংস্পর্শ আছে বলে খবর পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের। রমিজ সেসবের গভীরে না গিয়ে বললেন বিশ্বকাপে দলের পাশে থাকতে। জাতীয় দলকে কোন পথে এগোতে ও কেমন ক্রিকেট খেলতে দেখতে চান, সেটিও পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তিনি, ‘সমস্যার মুখোমুখি হতে ও হারতে প্রস্তুত হতে হবে আমাদের। কিন্তু ছেলেদের আমি বলেছি যে, দলে জায়গার নিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তা না করতে এবং ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে। আমরা জানি, এই পথে এগোলে (শুরুতে) সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি মিলবে। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের এটাই করতে হবে। এটা একটা প্রক্রিয়া এবং আমাদের ক্রিকেটারদের মানসিকতায় বদল আনতে হবে। এই জাতীয় দলের সামর্থ্য আছে বিশ্বকাপ জয়ের এবং বৈশ্বিক এই আসরের জন্য নির্বাচিত দলের পাশে থাকতে হবে আমাদের। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও শানিত করতে হবে আমাদের। পাকিস্তান ক্রিকেটের গঠনেই আছে নির্ভীকতা। কাক্সিক্ষত ফলাফল পেতে আমাদের প্রয়োজন উপযুক্ত কাঠামো ও এগিয়ে চলার স্বচ্ছতা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।