পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উজবেকিস্তান সফর মধ্য এশিয়ার সাথে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্কের একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করেছে। খবর এপিপির। এক টুইট বার্তায় শনিবার তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি উজবেকিস্তানের সরকার ও জনগণ প্রচুর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে, যার জন্য পাকিস্তান তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী বলেন, পেশোয়ার-তাসখন্দ ট্রেন ও সড়ক নেটওয়ার্ক দুটি দুর্দান্ত প্রকল্প চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সংযুক্ত করবে। এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতীয় গণমাধ্যমকে শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভারতীয় আরএসএসের আদর্শই প্রধান প্রতিবন্ধক। ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগ, চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগসমূহ’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী যে তাসখন্দে গিয়েছিলেন, তখন ভারতের সাথে আলোচনার বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান জানতে চান এক ভারতীয় সাংবাদিক। তার প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। আমরা দীর্ঘকাল অপেক্ষাও করেছি। সভ্য প্রতিবেশীদের মতো দুদেশের আচরণ প্রত্যাশা করেছি। কিন্তু কি ঘটলো? আরএসএস মতাদর্শটি যেভাবে এগিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলো, তখন কী করা উচিত, প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর কংগ্রেস হল ত্যাগের সময় ওই ভারতীয় সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন যে, ভারত জানতে চায় আলোচনা এবং সন্ত্রাস এক সাথে চলে কিনা? সন্ত্রাসবাদ ও তালেবান ইস্যুতে এমন বিব্রতকর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে অপেক্ষা করছিলেন ভারতীয় মিডিয়া এবং অনেক আগে থেকে তারা ইমরান খানকে অনুসরণ করছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কঠিন প্রতিক্রিয়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের জন্য ছিল এক বিশাল হতাশা, যা জানার জন্য সবাই মরিয়া। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং এর চরমপন্থী নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খুব স্পষ্ট মতামত দিয়েছেন। তার আগে একটি টুইট বার্তায় ইমরান খান ইঙ্গিত করেছিলেন যে, নাৎসি আর্যদের আধিপত্যের মতো হিন্দু আধিপত্য বিস্তারে আরএসএস সক্রিয়। ফলে, এটি ভারতে মুসলমানদের দমন এবং অবশেষে পাকিস্তানকে টার্গেট করার দিকে পরিচালিত করবে। তিনি বলেন, এটি হিটলারের লেবেনস্রামের হিন্দু সুপারম্যাসিস্ট সংস্করণ। আরএসএস সমর্থিত নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অধীনে চরমপন্থী হিন্দু নীতিগুলো অ-হিন্দুদের জীবনকে অসহ্য করে তুলেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দুই বছর আগের একটি টুইটও আজ সত্য প্রমাণিত। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনসমূহ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কান্ট্রি রিপোর্ট, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর প্রতিবেদন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে কীভাবে ভারতের চরমপন্থী, কট্টরপন্থী নীতিগুলো আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এপিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।