যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সুরক্ষা সামগ্রী হিসাবে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করেন আপনি । কিন্তু ব্যবহারের পর কী করেন এগুলো? কোথায় ফেলেন? ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে নাকি যেখানে-সেখানে? জানেন কি এতে ডেকে আনছেন আরও বিপদ।
এখন রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় চারদিকে প্রায় সবাই সার্জিক্যাল মাস্ক, পলিথিনের হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস-শিল্ড, সার্জিক্যাল ক্যাপ এবং পিপিই এগুলো পরে আছে। এসব সামগ্রী ব্যবহারের পর কীভাবে ফেলা উচিত তা আমরা অনেকেই জানি না। আমরা অনেকেই যত্রতত্র সুরক্ষা সামগ্রী ফেলে দিই। এতে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন রাস্তায় বের হলেই মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকতে দেখা যায়। এসব সুরক্ষা সামগ্রী প্রতিদিন ব্যবহারের পর রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন ও জীবাণুমুক্ত করছেন না। কিন্তু এটি খুবই ভুল ধারণা। তারা বলেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাতাসে ছড়াতে পারে। তাই ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী সঠিকভাবে ফেলা উচিত। কাপড়, প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের সামগ্রীর ওপর এই ভাইরাস বিভিন্ন মেয়াদে বেঁচে থাকতে পারে। বিশেষ করে প্লাস্টিকে এই ভাইরাসের স্থায়িত্বকাল ২৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি হতে পারে। যদিও এই মেয়াদ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, গ্লাভস পরার পরও আমরা সব ধরনের জিনিস ধরছি, মুখ স্পর্শ করছি। এরপর রাস্তাঘাটে মাস্ক বা গ্লাভস ফেলে দিচ্ছেন। সুরক্ষা বর্জ্য সঠিকভাবে না ফেলা মানে, নিজেরাই একে অপরের জন্য ঝুঁকি তৈরি করা।
তাহলে কীভাবে এসব সুরক্ষা সামগ্রী ফেলতে হবে?
যেহেতু বোঝার উপায় নেই কোন বাড়িতে কারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এসব সামগ্রী জীবাণুমুক্ত করে ব্যাগে ভরে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে তার পর ফেলা উচিত। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র : পুবের কলম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।