মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ধরে সীমান্তে বৈঠক করেও ফল মেলেনি। উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে কোনও বৈঠকেই মিলছে না সমাধান সূত্র। এই সামরিক পর্যায়ে আলোচনায় অবশ্য এমনিতেই খুব বেশিদূর যাওয়া যায় না। তবে এ থেকে কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনার ভিত তৈরি হয়। এদিকে সিকিমেও ছড়িয়েছে সীমান্ত উত্তাপের রেশ। এরই মাঝে মঙ্গলবার ২৩শে জুন দুই দিনের সফরে কাশ্মিরের লাদাখে পৌঁছেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে। গত ১৫ জুন এই লাদাখেই চীনের হাতে অন্তত ২৩ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়। আহত হয় ৮০ জনের মতো।
মঙ্গলবার লেহতে ১৪ কর্পসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথাও রয়েছে তাঁর। গালওয়ান ভ্যালিতে ১৫ই জুনের সংঘর্ষে আহত জওয়ানদের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। লাদাখের এই মুহুর্তের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবেন সেনাপ্রধান। কেন দুদেশের বারবার বৈঠকেও কোনও ঐক্যমত্য মিলছে না, তা যাচাই করে দেখবেন নারাভানে। ফেরার পথে শ্রীনগরে ১৫ কর্পসের সাথেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর।
সোমবার ২২শে জুন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বৈঠকে বসেন ভারত এবং চিনের শীর্ষ সেনা আধিকারিকরা। বৈঠক চলে প্রায় রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও মীমাংসা সূত্র বেরোয়নি বলে খবর।
আজ মঙ্গলবার ফের আরেকবার দু’দেশের মধ্যে হাই-প্রোফাইল এই বৈঠক চলবে বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশের মানুষ। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমত্যে আসা যাচ্ছে না। এই বৈঠকে চীনের কাছে কয়েকটি দাবি রেখেছে ভারত।
নয়াদিল্লি চাইছে ৪ঠা মের আগে গালওয়ান ভ্যালিতে দুই দেশের সেনার যে অবস্থান ছিল, তা ফের ফিরে আসুক। ভারতের এই বক্তব্য একেবারেই মানতে রাজী নয় বেজিং। অন্যদিকে ভারতও নিজেদের দাবিতে অনড়। ভারতের আরেকটি দাবি হল সীমান্তজুড়ে যে নির্মাণ কাজ চালু করেছে চীন সেনা, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
চীনের আরও সুবিধা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র কথায়। গত শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি বলেছেন, ভারতের ভূখণ্ডে কোনও চীনা সেনা নেই। ভারতের কোনও পোস্টও তাদের দখলে নেই। এরপরই গালওয়ান উপত্যকাকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে চীন।
ইতোমধ্যেই লাদাখে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড়ে যুদ্ধের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিখ, গোর্খা, ইন্দো টিবেট বর্ডার ফোর্সের ব্যাটেলিয়নকে অধিক সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।
স্থানীয় স্তরে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে কিংবা ফের সংঘর্ষ হতে পারে; এমন আশঙ্কা থেকেই এসব ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি। আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সেনাপ্রধান তা ঠিক করবেন।
ভারতের পক্ষ থেকে চীনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতির প্রয়োজনে সেনাবাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এর আগে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লি সিদ্ধান্ত বদল করেছে। চীন অবশ্য এর বিরোধিতা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।