Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতীয় সেনা আইনে পরিবর্তন, অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ১২:৩৫ পিএম

গত ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর হাতে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারানোর পর দুই দেশের সীমান্তে থাকা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) কর্তব্যরত সেনাদের জন্যে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এবার থেকে সীমান্তে ‘চূড়ান্ত অবস্থার’ পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনারা ব্যাক্তিগতভাবে এবার থেকে অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
গতকাল রবিবার একটি বার্তায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনাবাহিনীকে এই নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে রুল অফ এনগেজমেন্টস পাল্টে গেল। গালওয়ান এ চীন- ভারত সংঘর্ষের পর এই আইন পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল এদিন থেকেই। আইন কার্যকর হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠক করেন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। সব ফরওয়ার্ড বেস এ পরিবর্তিত আইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে চীন আকাশসীমায় বিমানবহর বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদুরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীও প্রস্তুত। বস্তুত, রবিবারও লাদাখ এর আকাশে চক্কর কাটছে ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান। কমব্যাট পেট্রোলিং এ নিয়োজিত তারা। এদিকে কড়া সেনা নিরাপত্তায় দারবুক- দৌলতাবেগ ওল্ডি সড়ক নির্মাণ চালাচ্ছেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা। এই সড়ক তৈরি হলে ভারত পৌঁছে যাবে কারাকোরাম পর্যন্ত চীন-পাকিস্তান আর্থিক করিডোর এর কাছে। এখানেই চীনাদের আপত্তি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৬ এবং ২০০৫ সালে ভারত এবং চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিস্ফোরক বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না এবং দু'দেশের কোনো সেনাই অন্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালাবে না। তবে এবার সেনাদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে গুলি চালানোর অনুমতি দেয়া হলো।
চার দশক পর আবার কেন রক্তাক্ত হল লাদাখ উপত্যকা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বলছেন, লাল ফৌজের চোখে চোখ রেখে কথা, সহ্য করতে পারেনি চীন। তাই কিছুটা পাল্টা দিতে এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে। ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চীন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তার সাথে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। তারা ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকায় গিয়ে দেখে সেখানে তখনো তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে লাল ফৌজ। তাদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাঁটাতার জড়ানো বাটামসহ আরো বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায়। শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ। সূত্র : এনডিটিভি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ