Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাতারাতি কাশ্মীর ছেড়ে লাদাখ সীমান্তে যাচ্ছে ভারতীয় সেনারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ১০:২৮ এএম | আপডেট : ১২:১৯ পিএম, ২২ জুন, ২০২০
বিভিন্ন সীমান্তে চীনা সেনাদের সক্রিয় তৎপতায় দিশেহারা হয়ে পেড়েছে ভারতীয় বাহিনী। এবার লাদাখের সংঘর্ষের পরে গালওয়ান-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার নানা জায়গায় সেনা-আধাসেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে মোদী সরকার। কাশ্মীর থেকে আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ)-র ২০ কোম্পানি জওয়ান ইতিমধ্যেই সেখানে পাঠানো হয়েছে। যাচ্ছে আরও কিছু সেনা ও আধাসেনা। ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের আগে থেকে এই সেনারা কাশ্মীরের নানা জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে মোতায়েন ছিলেন।
রাতারাতি সেনা সরে যাওয়ায় কাশ্মীরের পির পাঞ্জাল ক্ষেত্রের মতো কিছু জায়গা কার্যত পাহারা-শূন্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর, তাদের শূন্যস্থানে পাঠানো হচ্ছে সিআরপি-কে।

কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনা, আধাসেনা ও পুলিশকে নিয়ে একটি কোর গ্রুপ গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই গ্রুপের এক কর্তা জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে আইটিবিপি-র ২০ কোম্পানি জওয়ান ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। আরও কিছু বাহিনী পাঠানো হবে। আইটিবিপি ও সেনারা মিলে চিন ও ভারতের মধ্যে ৩৪৮৮ কিলোমিটার এলএসি-র নিরাপত্তার দায়িত্বে আইটিবিপি-র যে জওয়ানদের সেখানে পাঠানো হয়েছে বা হচ্ছে, গত এক বছর ধরে তাদের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আইটিবিপি ছাড়া সেনার কিছু বাহিনীকেও লাদাখে পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের যে-রোমিয়ো বাহিনী পির পাঞ্জাল ও আখনুরে মোতায়েন রয়েছে, তাদের একাংশ  লাদাখে যাওয়ার তোড়জোড় করছে। এক সেনা কর্তার কথায়, এই দুই অঞ্চলে এখন সেনা নেই। সিআরপি-কে সেখানে আনা হবে। আপাতত লাদাখেই নজর কেন্দ্রের। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর, ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কয়েকটি শিখ ইউনিটকেও লাদাখে পাঠানো হচ্ছে। একটি ইউনিট এখনই যাচ্ছে। রোমিয়ো বাহিনী এবং ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন— এই দু’টিই সেনা বাহিনীর নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে। উধমপুরে এই কমান্ডের সদর দফতর থেকেই লাদাখে সেনাসজ্জা পরিচালনা করা হচ্ছে। সুত্র : আনন্দবাজার
 


 

Show all comments
  • Mohammed Zahirul Hoque ২৩ জুন, ২০২০, ৫:৫২ এএম says : 0
    Two nuclear powers- with highest (China) and second highest (India) population; both having huge land mass in the world are at odds! Is it indicative of Third World War? An unhappy rowdy scenario for the Humanity! May Good sense prevail.
    Total Reply(0) Reply
  • ওবায়দুর রহমান ২৩ জুন, ২০২০, ৭:৫৫ এএম says : 0
    ভারতের অক্ষণ্ডনটা রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ