মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাদাখে ভারতের সাথে সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সীমানা অর্থাৎ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চীনা স্থলবাহিনীর তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, শত শত ট্রাক, বুলডোজার, সাঁজোয়া গাড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ক্রমশই এলএসি বরাবর এগিয়ে আসছে চীন। অপর দিকে, ভারতের যুদ্ধ বিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টারকেও টহল দিতে দেখা যায়।
লাদাখে চীন-ভারত সীমান্ত যাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বলা হয়, তার সঠিক কোনও সীমারেখা চিহ্নিত করা যায়নি। ম্যাপ দেখলে বোঝা যায়, আকসাই চীন পেরিয়ে লাদাখের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে শিয়ক নদীতে মিশেছে গালওয়ান নদী। এই গতিপথের মধ্যেই ধরা হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে। পূর্ব লাদাখের এই গালওয়ান উপত্যকাই চীন-ভারত সংঘাতের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। উপগ্রহ চিত্র দেখাচ্ছে, শতাধিক ট্রাক, ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ওই এলাকার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে চীনা বাহিনী। গত ৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল ওই এলাকা একেবারেই জনশূন্য। ১৬ জুনের স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, ট্রাক, বুলডোজার মিলিয়ে অন্তত ৭৯টি গাড়ি এলএসি থেকে ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে। পরের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, ক্রমশই এই সংখ্যা বাড়ছে। এলএসি বরাবর চিনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ১২৭টি গাড়ির বিরাট জমায়েত লক্ষ্য করা গেছে। এই এলাকা এলএসি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাক, বুলডোজার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম নিযে যুদ্ধের প্রস্তুতিই নিচ্ছে চীন। অতর্কিতে হামলা হতে পারে যে কোনও সময়েই। এলএসি থেকে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে চীনা বাহিনীর ৫০ টি ক্যাম্প ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে এলএসি বরাবর সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখছে চীন।
আরও একটা জিনিস ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। সেটা হল, এলএসি বরাবর গালওয়ান নদীর যে গতিপথ সেখানেই নতুন করে কোনও কাঠামো গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে নদী উপত্যকায় তেমন কোনও কাঠামো দেখা যায়নি। তবে ১৬ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, নদী উপত্যকা বরাবর এলএসি থেকে ৬০০ মিটারের মধ্যে নতুন করে কোনও কাঠামো তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাম্প করে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে চীন। ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে পুরোদস্তুর বিমানঘাঁটিও গড়ে তুলেছে তারা। লাদাখের প্যাংগং লেকের ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের ‘গাড়ি কুনসা’য় দশ বছর আগেই একটি বিমানবন্দর বানিয়েছিল চীন। বেইজিং তখন জানিয়েছিল, বেসামরিক বিমান পরিবহণের জন্যই ওই বিমানবন্দর তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, গত এক মাসে ওই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ রাতারাতি বেড়ে গেছে এবং সেখানে রীতিমতো একটি বিমানঘাঁটি বা এয়ারবেস বানিয়ে ফেলেছে তারা।
উপগ্রহ চিত্র দেখে মনে করা হচ্ছে, এলএসির পেট্রল পয়েন্ট ১৪-র কাছেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘাত হয়েছিল। এলএসি ঘেঁষা ওই রাস্তা দারফুক, শিয়ক ছুঁয়ে চীন নির্মিত কারাকোরাম পাসের কাছে শেষ হয়েছে। সংঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। সূত্র: দ্য ওয়্যার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।