ঢাকার আশুলিয়ায় বড়ভাইয়ের বাসা থেকে অন্তঃসত্ত্বা বোনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে আরমান হোসেন নামে বাড়ির এক ভাড়াটিয়া যুবক পলাতক রয়েছে। পরিবারের দাবী এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
হনুফা আক্তার (২৬) পটুয়াখালী জেলার সদর থানার অফিসের টেক গ্রামের বাসিন্দা। গত এক সপ্তাহ আগে গ্রাম থেকে বড়ভাই রুহুল আমিনের বাড়ি দেখাশুনার জন্য আসেন।
শনিবার দিবাত মধ্য্যরাতে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার বড়ভাই রুহুল আমিনের মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থকে হনুফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বড় বোন নুর নাহার আক্তারের দাবী, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নিহতের গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল পাওয়া যায়নি। এমনকি ঘরে থাকা বেশ কিছু টাকাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এস আই সুদীপ কুমার জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাইরে থেকে দরজা খোলা ছিল। অন্ত:সত্ত্বা এই নারীর মরদেহ বাড়ির একটি ফাঁকা কক্ষের মেঝেতে লাশটি পড়েছিল ও গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ছিল।
ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানাযাবে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং সে কতদিনের অন্ত:সত্ত্বা ছিল। নিহদের বাম চোখে কিছু আঘাতের চিহ্নের রয়েছে। পাশাপা
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসসরুদ্ধ করে হত্যার সময় ধস্তধস্তি হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে আরমান হোসেন নামে বাড়ির এক ভাড়াটিয়া পলাতক রয়েছে। তবে আরমানের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।