মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা আবহের মধ্যেই ভারত-চীন সংঘর্ষ। সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এর আগেও বহুবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশই এবং তা সর্বজন বিদিতও। কারন ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার ৩৮৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীমানা রয়েছে চীনের। আর এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিকে ব্যবহার করে ভারতের ভিতরে হামেশাই ঢুকে পড়ছে চীন। চীনকে প্রতিহত করতে সমরসজ্জাও শুরু করে দিয়েছে ভারত। তবে এরই মাঝে তিব্বতের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকাকে ছুঁয়ে দ্রুত গতিতে রেলপথ নির্মাণ করছে চীন। যা ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সে দেশের সরকার। আর এই রেলপথ নিয়ে নতুন মাথাব্যাথা তৈরি হয়েছে ভারতের।
এরই মধ্যে রেললাইন তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। তিব্বতের ইয়ারলুং তাসানজোংপ এবং সিয়াং অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে রেলব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে অর্থাৎ তিব্বতের যেখান থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ শুরু হয়েছে। আর সেখান থেকে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে ভারতের এই রাজ্য নিয়ে নতুন করে বিবাদ বাধাতে চাইছে চীন।
এর আগেও অনেকবার চীন অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে এসেছে। শুধু তাই নয়, গত বছর ডিসেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সফরের তীব্র বিরোধীতা করেছিলো চীন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে চীনের সীমান্ত সংঘাত মেটাতে প্রায় ২১ দফা বৈঠকও হয়ে গিয়েছে দুই দেশের।
তিব্বত থেকে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত পর্যন্ত এই চীনের রেললাইন তৈরি নতুন করে ভারত- চীন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করছে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।
গত এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ চিনা সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিলো যে, তিব্বত থেকে তৈরি রেললাইনের ৪৭ টি টানেলের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই দ্রুত গতিতে কাজও শুরু করে দিয়েছে চিন।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫০০ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই রেললাইনটি হবে তিব্বতের প্রথম ইলেকট্রিক রেলওয়ে। এখান থেকে ট্রেন চলবে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি গতিবেগে। ২০১৪ সালের শেষ থেকে কুড়ি হাজার শ্রমিক নিয়ে এই রেললাইন তৈরীর কাজ চলছে। যা শেষ হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে।
এখন দেখার বিষয় যেভাবে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারত-চিনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে,তাতে নতুন এই রেলপথ দুই দেশের জন্য কী বার্তা বয়ে আনে।
সূত্র : কলকাতা-২৪
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।