নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সীমান্তে সংঘাতে প্রাণহানির জন্য ভারতজুড়ে চলছে চীনবিরোধী প্রচারণা। চলছে চীনের পণ্য বর্জন। এ অবস্থায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অবস্থান কোথায়, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। কারণ, বিসিসিআইয়ের লাভজনক টুর্নামেন্ট আইপিএলের টাইটেল স্পনসর চীনের মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধামাল জানান, সামনের চক্রে স্পনসরশিপ নীতিমালা তারা পুনর্ম‚ল্যায়ন করবেন। তবে এই মুহ‚র্তে ভিভোর সঙ্গে স্পনসর চুক্তি বাতিলের কোনো ইচ্ছাই তাঁদের নেই। তার ভাষায়, চাইনিজ প্রতিষ্ঠান থেকে আসা টাকা সাহায্য করছে ভারতকে।
প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো সীমান্তে সংঘাতে জড়াল ভারত ও চীন। ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। এরপর থেকে চীনের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে ভারতজুড়ে। ওদিকে ভিভোর সঙ্গে পাঁচ বছরের স্পনসর চুক্তি রয়েছে বিসিসিআইয়ের। এখান থেকে প্রতিবছর তারা পায় ৪৪০ কোটি রুপি, পিটিআইকে ধামাল বলেন, ‘আবেগতাড়িত কথায় যুক্তি থাকে না। চীনের জন্য চাইনিজ প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন দেওয়া এক জিনিস আর ভারতের স্বার্থ দেখে, এমন কারণে চাইনিজ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া অন্য জিনিস। ভারতের ভোক্তাদের কাছ থেকে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো যে অর্থই নিক, এর একটি অংশ তারা বিসিসিআইকে (ব্র্যান্ড মূল্য বাড়াতে) দিচ্ছে। বিসিসিআই ওই টাকার ওপর ৪২ শতাংশ কর দিচ্ছে সরকারকে। তাই এ বিষয়টি চীন নয় ভারতের স্বার্থ সংরক্ষণ করে।’
২০২২ সাল পর্যন্ত ভিভোর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ধুমাল মনে করেন, চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতে যত দিন ব্যবসা করার অনুমতি পাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত আইপিএলের মতো ভারতীয় ব্র্যান্ডকে স্পনসর করায় কোনো ক্ষতি নেই। তার ভাষায়, ‘ভারতের ক্রিকেটের সমর্থনে চীনের টাকা পেলে সমস্যা কোথায়। ব্যক্তি হিসেবে আমি চাইনিজ পণ্য বর্জনের পক্ষে। সরকারের পক্ষে। তবে চীনের স্পনসর তো ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থই দেখছে। ভারতের ভেতর থেকে কিংবা চীনের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান স্পনসর হতে পারত। কিন্তু কৌশলটা হলো এখানে (ভারতে) যখন তারা পণ্য বিক্রি করছে, সেই টাকার একটা অংশ কিন্তু ভারতে থেকে যাচ্ছে। বিসিসিআই চীনকে টাকা দিচ্ছে না। এর উল্টোটা ঘটছে। আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আমাদের।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।