মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাদাখে চীনের সাথে সংঘর্ষে ২৩ সেনার মৃত্যু ও চলমান উত্তেজনায় ভারতের পদক্ষেপ নির্ধারণে আজ শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকার কথা রয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও। তবে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ দল আম আদমি পার্টি ও লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-কে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ না-জানানোয় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
নবান্ন থেকে স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় বৈঠকে অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘দেশের স্বার্থ জড়িত, তাই আমি নিজেই থাকব বৈঠকে।’ বৃহস্পতিবার সব দলের শীর্ষ নেতাকে ফোন করে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কেন আরজেডি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের নেতা তেজস্বী যাদব।
সূত্রের দাবি, সংসদে যে দলগুলোর অন্তত পাঁচজন সদস্য রয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে রয়েছেন চারজন সাংসদ। আপ আমন্ত্রিত না হওয়ায় দলের নেতা সঞ্জয় সিং ট্যুইটে জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ইগো রয়েছে। দিল্লিতে সরকার চালায় আপ আর পাঞ্জাবে আমরাই প্রধান বিরোধী দল। অথচ একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপের মতামতের প্রয়োজন নেই? এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশ।’ তবে ৫ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কেন আরজেডি-কে ডাকা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লালুর দলের এক নেতা মনোজ কুমার ঝা।
চীনের সাথে সংঘাত নিয়ে ভারতের সব বিরোধী দলই ‘দেশের পাশে আছি’ এই আশ্বাস দিলেও ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল ও পরবর্তী পদক্ষেপ কী হকে চলেছে তা তারা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে। সে জন্যই এই বৈঠকের ডাক। তবে, বর্তমানে পূর্ব লাদাখের যা পরিস্থিতি, তাতে বিশেষ সুর চড়িয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা করার জায়গায় ভারত নেই, সে কারণে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে চীনা সেনাকে তাদের এলাকায় ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা৷ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চীন সেনা সরায়নি বলে জানা গেছে।
যুদ্ধ কোনও পক্ষই চায় না। আবার কেউ ছাড় দিতেও রাজি নয়। এই আবহে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান চাইছে নয়াদিল্লি-বেইজিং। তবে সে জন্য অবশ্য লাদাখে চুপ করে বসে নেই বাহিনী। লাদাখ থেকে অরুণাচল পর্যন্ত ৩৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চীন সীমান্তের বিস্তীর্ণ অংশে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে ভারত৷ এই সব এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা ও সমরাস্ত্র৷ চীনও ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, আর্টিলারি মোতায়েন করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।