Inqilab Logo

রোববার ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের সঙ্গে ৫৫০ কোটি টাকার কাজ বাতিল করল ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২০, ১:০৪ পিএম

ভারত-চীন সংঘাতের কারণে বড়সড় সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের। চীনা সংস্থার সঙ্গে ৫৫০ কোটির চুক্তি বাতিল করে দিল ভারতীয় রেল। এ সিদ্ধান্তের ফলে চীনের ওই সংস্থা বেশ সমস্যার মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে সরকারি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের ৪জি আপগ্রেডেশনে যাতে কোনওভাবেই চীনা সামগ্রী ব্যবহার না করা হয় সেজন্যে বলা হয়েছে। এরপরেই রেলের সঙ্গে চুক্তি হওয়া সংস্থার সমস্ত কিছু বাতিল করে দিল মোদি সরকার।
ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের সিগনালিং সিস্টেম তৈরির জন্য ৫০০ কোটি রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার কাজ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থসাহায্যকারী বিশ্ব ব্যাংকেও ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়।
ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের জন্য উত্তরপ্রদেশের নিউ ভানুপুর থেকে মুঘলসরাই পর্যন্ত ৪১৩ কিলোমিটার রেললাইন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রকল্পে অর্থসাহায্য করছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পে সিগন্যালিং এর যাবতীয় কাজের দায়িত্ব পেয়েছিল চীনের রেল যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘চায়না রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন কর্পোরেশন’ (সিআরএসসি)। ২০১৬ সালে প্রাপ্ত চুক্তিটির অঙ্ক ছিল ৫০০ কোটি রুপি। সিআরএসসি-র দায়িত্ব ছিল সিগন্যালিং-এর যন্ত্রপাতির নকশা তৈরি করা, সেই অনুযায়ী তৈরি করে সরবরাহ করা, বসানো এবং পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর হস্তান্তর করা। এবার সেটাই হারাচ্ছে যাচ্ছে চীন।
অন্যদিকে, মোদি সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ চীনের ইলেকট্রিকাল দ্রব্য ব্যবহার করে ৪জি আপগ্রেডেশন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএসএনএলকে একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএলকে কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগ জানিয়েছে, ৪জি আপগ্রেডেশনের জন্য কোনও ভাবেই চীনা দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ভারতে তৈরি ইলেকট্রিক্যাল দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে। নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
টেলিকম দফতরের সিদ্ধান্ত এই প্রেক্ষিতে নতুন করে টেন্ডার ডাকা হবে। ৪জি আপগ্রেডেশনের পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে করা হবে। প্রাইভেট মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার ও অপারেটর কোম্পানিগুলিকেও একই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
মোদি সরকার মনে করছে মোবাইলে তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি চিনা কোম্পানির যন্ত্র ব্যবহার করার পর নিরাপদ থাকছে না। ফেব্রুয়ারি মাসে রিলায়েন্স জিও জানিয়েছিল তারা কোনওভাবেই কোনও চিনা নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করেই ৫জি নেটওয়ার্কে আপগ্রেডেশন করবে।
মুকেশ আম্বানি জানিয়েছিলেন, গোটা বিশ্বে এই প্রথম কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে, যেখানে চীনা কোনও সার্ভিস প্রোভাইডারের সাহায্য ব্যবহার করা হয়নি। সূত্র: কলকাতা২৪



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ