Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রথম বৈঠক ব্যর্থ : চীন-ভারত সীমান্তে দুই পক্ষের শক্তি বৃদ্ধি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ১১:১৫ এএম

চীন এবং ভারতে পক্ষ থেকে শান্তির কথা বলা হলেও এতজন সেনার প্রাণহানি হওয়ার পরে এই মুহূর্তে সীমান্তে উত্তেজনা কমা কঠিন। দুই পক্ষের সেনাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচনার রাস্তা খোলা থাকবে। তবে এখনই উত্তাপ কমবে না।

প্রথম বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর চীন-ভারত সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করেছে। তবে আবারও আলোচনা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সেই আলোচনা হবার কথা রয়েছে। এর মধ্যেই বায়ু সেনা, নৌ সেনা এবং স্থলবাহিনীকে সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বললো ভারত-চীন।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত এবং চীনের প্রতিটি সীমান্তেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে আরও বেশি সেনা নিয়োগ করা হয়েছে। সকলকেই অতি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সূত্র জানাচ্ছে, বায়ুসেনাও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। যাতে যে কোনও প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। অন্য দিকে ভারতের নৌসেনা প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে টহল বাড়িয়েছে। তারাও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

সোমবার রাতে লাদাখের ঘটনার পরে ভারত বা চীন কোনও দেশই সরাসরি যুদ্ধের কথা বলেনি। কিন্তু দুই দেশের বিবৃতিতেই উত্তেজনা পারদ যথেষ্ট চড়া। তারই মধ্যে বুধবার লাদাখে ভারত এবং চীন সেনার ফ্ল্যাগ বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ফের মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠক হওয়ার কথা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ তে। এখানেই সোমবার রাতে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে ভারত এবং চীনের সৈন্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। যার জেরে ভারতের অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজন অফিসার। চীনেরও বেশ কয়েক জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও সরকারি ভাবে চীন এখনও কিছু জানায়নি।

সোমবার রাতে ঘটনা ঘটার পরে মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চীনের অফিসাররা। দুই পক্ষই একে অপরের দিকে আঙুল তোলে। স্থির হয়, বৈঠকে মূলত দু'টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে গত শনিবার কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকেও এই বিষয়গুলি নিয়েই কথা হয়েছিল। আলোচনার প্রথম বিষয় উত্তেজনা প্রশমন করা। এবং দুই স্থিতাবস্থা রক্ষা করা। স্থিতাবস্থা রক্ষা করার অর্থ, আসল নিয়ন্ত্রণ রেখা মেনে দুই পক্ষই সরে যাবে। অর্থাৎ, বর্তমান অবস্থা থেকে দুই পক্ষকেই পিছু হঠতে হবে। বুধবারের বৈঠকে এ বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি কোনও পক্ষই। বরং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। সূত্র -ডয়েচে ভেলে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ