মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন-ভারতের মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনেকবার সংঘর্ষ হলেও বস্তত ১৯৮৪ সালের পর আর গুলি বিনিময় হয়নি। ওয়েস্টার্ন সেক্টর তথা লাদাখে দুই দেশের সেনার মধ্যে গত কয়েক বছরে অনেকবার হাতাহাতি হয়েছে। এতে আহত হলেও কোন দেশের সেনা সদস্য নিহত হয়নি। কিন্তু গুলি কোনও বারই চলেনি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে বলা হচ্ছে, সোমবার রাতে সীমান্তে টহলদারির সময় দুই দেশের সেনার মধ্যে যে মুখোমুখি সংঘাত হয়েছে তাতে গুলি চলেনি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্নেলসহ ২৩ সেনা সদস্যের যে মৃত্যু হয়েছে, তা গুলিতে বা বিস্ফোরণের কারণে নয়। লোহার রড, পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বলা যেতে পারে প্রথমে দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। তার পর তা প্রাণঘাতী মারামারির পর্যায়ে পৌঁছয়। চীনা সেনা লোহার রড, লাঠি, পাথর নিয়ে মারামারি করে। প্রত্যাঘাতে ভারতীয় সেনাও সেই হাতিয়ারই ব্যবহার করেছে বলে খবর। তাতে চীনের ৫ জন সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ১১ জন।
কূটনৈতিক বোঝাপড়া অনুযায়ী লাদাখে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল স্তরে আলোচনা চলছিল। তাতে স্থির হয়েছিল, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনা যেখানে তাঁবু গেড়েছে সেখান থেকে তা তুলে নিতে হবে। কিন্তু সেই শর্ত পালনের আগেই পারস্পরিক কথা কাটাকাটি থেকে ঝামেলা শুরু হয়। তার পর ক্রমশই তীব্রতা বাড়তে থাকে। সেনা সূত্রে বলা হচ্ছে, পিএলএ সেনারা লোহার রড, পাথর নিয়ে প্রস্তুত হয়েই এসেছিল ঝগড়া বাধাতে। বিতন্ডা পর তারাই প্রথম লোহার রড ও পাথর দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই কর্নেলকে আঘাত করে। তখনই প্রত্যাঘাত করেন ভারতীয় সেনা সেনারা। কিন্তু তারাও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেননি। দফায় দফায় কয়েক ঘটনা ধরে এই সংঘাত চলতে থাকে। তার পর মাঝরাতের দুই দেশের শীর্ষ সেনা অফিসারদের হস্তক্ষেপে তা থামানো হয়।
পরে আজ সকাল থেকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য দুই দেশের সেনা কর্তা স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। গালওয়ান নদী উপত্যকা অঞ্চলের ১৪ নম্বর টহলদারী পয়েন্টে তা চলছে। তবে সূত্রের মতে, সীমান্তে এখনও প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। এতোটাই যে সেখানে আলোচনার জন্য যে পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা গিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে নয়াদিল্লি। সূত্র: দ্য ওয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।