মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সংঘাত থামলেও আহত ও নিহতদের নতুন নতুন খবর আসছে প্রতিক্ষণ। দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে ঠিকমত চিকিৎসা না হওয়া ও ঠাণ্ডায় অনেক সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার বহু সেনার লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের সেনা সূত্র জানাচ্ছে, অন্তত ১১০ জন ভারতীয় সেনা গুরুতর আহত। নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। গভীর রাতে জরুরি বৈঠক করেছেন মোদী এবং তার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা।
সোমবার গভীর রাতের ঘটনা। লাদাখের সুউচ্চ পর্বতমালায় গালওয়ান নদীর পূর্ব পার ধরে পেট্রোলিংয়ে বেরিয়েছিল ভারতীয় সেনার বিহার রেজিমেন্টের একটি পেট্রোলপার্টি। তাদের সঙ্গেই চীনের সেনার তীব্র সংঘাত হয়।
গত প্রায় এক মাস ধরে এই অঞ্চলটি নিয়ে বিতর্ক চলছে ভারত এবং চীনের। ভারতের অভিযোগ, লাইন অফ কন্ট্রোল উপেক্ষা করে ভারতে ঢুকে পড়েছে চীনের সেনা। চীনের পাল্টা অভিযোগও একই রকম। বিষয়টি নিয়ে সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনা একাধিকবার বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়েছে। দুই পক্ষই সেনা এবং অস্ত্র মজুত করেছিল সীমান্তের খুব কাছে। তারই জেরে গত সপ্তাহে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয় সীমান্তে। কিন্তু সোমবার রাতের ঘটনা সেই পুরো প্রক্রিয়াটাতেই জল ঢেলে দিয়েছে।
ভারতীয় সেনার এক আহত জওয়ানের বয়ান অনুযায়ী, মাঝ রাতে পেট্রোলিংয়ের সময় বিহার রেজিমেন্ট দেখতে পায় গালওয়ান নদীর পশ্চিম প্রান্তে লাইন অফ কন্ট্রোল পার করে পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ তে টেন্ট তৈরি করেছে চীনের পিপলস আর্মি। ভারতের দাবি, ওই এলাকাটি ভারতের। ফলে পেট্রোলপার্টি দ্রুত সেখানে পৌঁছয় এবং বচসা শুরু হয়। আহত সেনাদের বক্তব্য, সামান্য হাতাহাতি শুরু হতেই চীনের সেনা রডে কাঁটাতার জড়িয়ে আক্রমণ করে। পাল্টা আঘাত করে ভারতীয় সেনাও। ওই উচ্চতায় অত রাতে ঠান্ডার সঙ্গে যুঝে নেওয়াই কঠিন। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে। সঙ্গে অক্সিজেনের সমস্যা। তার মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চরমে পৌঁছয়। আহত সেনা জওয়ানরা নদীতে পড়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বহু সেনার লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রায় আট ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে। দুই পক্ষের সেনাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ভারতের অভিযোগ, চীন বেশ কিছু ভারতীয় সেনাকে আটক করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষ বৈঠকে বসলে তাদের ছাড়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম সংঘাতের কথা স্বীকার করে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের তারা বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজন অফিসার। আহত আরও অনেক। ডয়চে ভেলেকে ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সকালে নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১১০ জন গুরুতর আহত। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র : ডয়চে ভ্যালে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।