যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকদের হাতে আসেনি। তবে ওষুধ নিয়ে থেমে নেই গবেষণা। বিশ্বের সকল চিকিৎসকদের দাবি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি বাড়ানো যায় তাহলে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে রোধ করা যাবে।
ইমিউনিটি বা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার অন্যতম উপায় সঠিক খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সব চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা একমত। তবে একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে অনেকে অতিরিক্ত জিম ও এক্সারসাইজ করেন। তা আবার ইমিউনিটি বাড়ানোর বদলে কমিয়ে দিতে পারে।
নিয়মিত যোগাসন ও অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। আসলে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজকর্ম ও দুশ্চিন্তার ফলে আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন আবার ইমিউনিটি কমিয়ে দেয়।
তবে প্রতিদিনের খাবারের দিকেও অসম্ভব নজর দিতে হবে সবাইকে। এমন কোনও খাবার খাওয়া যাবে না যা শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। আবার খাবারের সবচেয়ে বেশি গুণ শরীরে প্রবেশ করতে পারে এমন ভাবে খাবারও খেতে হবে। যে খাবাই হোক ঠিক ভাবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করতে হবে।
রসুন শরীরে দারুণ উপকারী কিছু এনজাইম প্রবেশ করায়। সাধারণত কুচি করে বা বেটেই এই রসুন রান্নায় দেওয়া হয়। কিন্তু রসুন কখনও কেটেই রান্নায় দিয়ে দেবেন না। অন্তত কেটে রাখার পর ধুয়ে ১০ মিনিট বাতাসে রেখে তার পর রান্নায় দিন।
টমেটো কাঁচা না খেয়ে সবজি হিসাবে মাছের সাথে রান্না করে খান। এতে করে টমেটোর সবচেয়ে বেশি গুণ প্রবেশ করবে শরীরে। উত্তাপ পেলে তা থেকে নিঃসরণ হয় লাইকোপেন। এটাই শরীরের জন্য উপকারী।
ব্রোকোলি কোনও দিন ভাজি কিংবা সিদ্ধ করে খাবেন না। কাঁচা অথবা ভাপে সিদ্ধ করে খান। ভিটামিন সি, অ্যান্টি ক্যানসার কম্পোনেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই সবজি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।