মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে চীনের সাথে করোনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ও বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করলেও ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বিস্তৃত লড়াইটি হোয়াইট হাউসে তার মেয়াদকালকেও ছাড়িয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন ‘সুপারপাওয়ার শোডাউন’-এর লেখক বব ডেভিস এবং লিংলিং ওয়ে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত বইতে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, চীন ও আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ ট্রাম্পকে দিয়ে শুরু হয়নি এবং তার আমলে শেষও হবে না।
আমেরিকা ও চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং সক্রিয় সামরিক বাহিনী নিয়ে গর্ব করে, তাদের সিদ্ধান্তগুলি বিশ্বব্যাপী রাজনীতিকে প্রভাবিত করে। দু’দেশের মধ্যকার সুদীর্ঘ ও পরিপূর্ণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিরোধের ইতিহাস রয়েছে যা গত ৩ বছরে আরো বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি ক্রমবর্ধমান সংঘাত, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে ও বিশ্বে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং আরো বেশি অনিশ্চয়তা ও বিপত্তির জন্ম দিয়েছে।
ডেভিস এবং ওয়ে বলেছেন, এটি আমেরিকা-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের অভ্যন্তরীণ গল্প, যা এই পরাশক্তিদের মধ্যকার সম্পর্ককে উন্মোচন করেছে। তাদের বিরোধ বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাণিজ্য লড়াইয়ের মাধ্যমে উন্মোচিত শক্তিমত্তা উভয় দেশের কট্টরপন্থীদের উৎসাহিত করেছে। তারা টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহকারী হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ, হংকংয়ের ভবিষ্যত এবং কোভিড-১৯’র প্রাদুর্ভাবের জন্য পরস্পরকে দায়ী করার মতো অন্যান্য ইস্যুগুলিতেও পরস্পরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
ট্রাম্প বা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের কারোর মধ্যেই এই লড়াই থেকে পিছিয়ে থাকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। একটি বিশাল বাণিজ্য চুক্তি এবং অনেক ক‚টনৈতিক বৈঠক সত্তে¡ও দেশ দুটিকে ভদ্রতাসূচক আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে। আমেরিকার পক্ষ থেকে চাপ বাড়ার সাথে সাথে চীন নির্বিকার। দেশটি ঠাÐা মেজাজে তার সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। যদি চীন এভাবেই প্রবল প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে থাকে, তাহলে আমেরিকাকে তার শিক্ষানীতি পুনর্বিবেচনা এবং কিছুটা অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমেরিকান ভোটাররা নভেম্বরে সিদ্ধান্ত নেবেন, ট্রাম্পের চীনবিরোধী ভাষণগুলি তাকে পুনরায় নির্বাচিত করার পক্ষে যথেষ্ট কিনা। তবে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্বিশেষে যাই হোক, রিপালিকান ও ডেমোক্র্যাট, চীনবিরোধী মনোভাব কংগ্রেসে উভয় পক্ষের ভেতরেই গভীরভাবে রয়েছে। অতএব, হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যেই আসুন না কেন, চীনের ওপর অত্যধিক শুল্ক চাপানোর বাণিজ্য অস্ত্রটি ওয়াশিংটন এবং বেইজিংকে একটি দীর্ঘ সংঘর্ষের পথে চালিত করতে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।