মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারীতে মালদ্বীপে ঘরবন্দি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঘরবন্দি এসব কর্মীদের অনেকেই খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছে। গত রমজানের আগে দেশটিতে বসবাসকারী কর্মীদের জন্য সরকার নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ যোগে খাদ্য সামগ্রি পাঠায়। তিন মাসে কর্মসংস্থানের খাতগুলো বন্ধ হওয়ায় অভিবাসী কর্মীদের নিজ নিজ দেশে পাঠাতে উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সরকার। মালদ্বীপ থেকে প্রত্যাগত একাধিক কর্মী দেশে ফিরে এসব তথ্য জানিয়েছে। দেশটিতে লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মীরাও চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরার ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব প্রবাসী কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে। শুক্রবার রাতে মালদ্বীপ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে ২০০ জন প্রবাসী কর্মীকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। খালি হাতে দেশে ফিরে এদের অনেকেই মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। বিমান বন্দরস্থ কল্যাণ ডেস্ক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেও মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ থেকে করোনায় চাকরি হারিয়ে ৮৮৬ জন প্রবাসী কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরেছে। প্রত্যাগত এসব কর্মীর অনেকেরই পকেটে বাড়ি যাওয়ার কোনো টাকা পয়সা ছিল না।
এছাড়া, শুক্রবার গভীর রাতে একাধিক বিশেষ ফ্লাইট যোগে সউদী আরব, কাতার, দুবাই ও ওমান থেকে ১০ জন প্রবাসী কর্মীর লাশ ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রবাসে হৃদরোগসহ বিভিন্ন কারণে এসব কর্মী মারা যায়। বিমান বন্দরে অপেক্ষমান স্বজনরা এসব লাশের কফিন দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রবাসে মৃত কর্মীরা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জের দুলাল মিয়া, বি-বাড়িয়ার আরিফুল ইসলাম, কুমিল্লার হারুনুর রশিদ, আব্দুল আলিম ভূঁইয়া, চট্টগ্রামের লিয়াকত, মহসিন, ফরিদুল আলম, পাবনার ফারুক হাসান, ও নেত্রকোণার সুলতান মিয়া। এসব প্রত্যেক প্রবাসী কর্মীর লাশ দাফন কাফন ও পরিবহন ভাড়া বাবদ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকার সহায়তা দেয়া হয়েছে। সউদী আরবসহ বিভিন্ন দেশের হাসপাতালগুলো কয়েকশ’ প্রবাসী কর্মীর লাশ পড়ে রয়েছে। স্বজনদের অনাপত্তি পাঠাতে বিলম্বে হওয়ায় এসব লাশ দাফন কাফন করা সম্ভব হচ্ছে না। সউদী সরকার দেশটির হাসপাতালে পড়ে থাকা শতাধিক লাশ দ্রুত দাপনের জন্য রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে চাপ দিচ্ছে। আজ শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে চাকরি হারিয়ে বেশ কিছু প্রবাসী কর্মীর দেশে পৌঁছার কথা।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনা মহামারীতে বিদেশ থেকে চাকরি হারিয়ে যেসব প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরছে তাদের পুর্নবাসনে দু’দফায় ৭০০ কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যাগত অসহায় কর্মীদের ঋণ সুবিধা দেয়া হবে বলেও প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীন জানিয়েছেন। প্রবাসী মন্ত্রণাললের পক্ষ থেকে ঋণ প্রাপ্তদের যথাযথ প্রশিক্ষণও দেয়া হবে । প্রত্যাগত প্রবাসী কর্মীদের পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ঋণ বরাদ্দের প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।